চুয়াডাঙ্গায় আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে নারীশ্রমিককে ভারতে পাচারের অভিযোগে আদালতে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় এক নারী পোশাকশ্রমিককে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে (১) এ মামলা দায়ের করা হয়। আগামী ১ ফ্রেবুয়ারি মামলার বাদী ভিকটিমের বাবা মো. রিপনের জবানবন্দী আদালতে গ্রহণ করা হবে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজ বাজারের মো. ফয়ছালের স্ত্রী ডেনছার সাথী ওরফে সালমাকে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা গ্রামের আবাসনপাড়ার মো. রিপনের মেয়ে শিল্পি খাতুন নারায়ণগঞ্জে একটি পোষাক কারখানায় চাকরি করতো। চাকরির সুবাদে শিল্পীর সাথে আসামি সাথীর সখ্যতা গড়ে ওঠে এবং হাতিকাটা গ্রামে বেড়াতে আসে। এ সুযোগে শিল্পীকে সাথী অধিক বেতনে ভালো কাজের প্রলোভন দেখায় এবং বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবে শিল্পী রাজি হলে আনুমানিক ৬ মাস আগে সাথীর সাথে ঢাকায় চলে যায়। তারপর থেকে শিল্পীর সাথে বাবা রিপনের যোগাযোগ না হওয়ায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে শিল্পী মোবাইলফোনে পিতা রিপনকে জানায় সে ভারতে রয়েছে এবং অতিকষ্টে জীবন যাপন করছে। শিল্পী আরো জানায়, সাথী অধিক বেতনে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে অজ্ঞাতনামা লোকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। শিল্পীর কাছ থেকে ঘটনা শোনার পর সাথীকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সাথী ভারত থেকে মোবাইলফোনে জানায় ৩০ হাজার টাকা পেলে শিল্পীর ঠিকানা জানাবে।
মামলার বাদী রিপন আশঙ্কা করছেন, তার মেয়ে শিল্পীকে অজ্ঞাতনামা লোকের মাধ্যমে বেআইনিভাবে জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাথী বিদেশে পাচার করেছে। শিল্পীর ৪ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে নানা রিপনের কাছে। মেয়েটি মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ মামলার আইনজীবী মাসুদুর রহমান রানা জানান, মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এ দাখিল করা হয়েছে এবং আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।