চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে আলমসাধু-মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৯ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে আলমসাধু ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৯ জন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে সরোজগঞ্জ বাজারের যুগিরহুদা আবুল হোসেন দাখিল মাদরাসার সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন- কালুপোল গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে শিহাব (১৮), চালক শফি (৩০), মৃত মোফাজ্জেলের ছেলে ফজলুর রহমান (৪৫), যাদবপুর গ্রামের বদর উদ্দীনের ছেলে মানুয়ার (২৫), তার স্ত্রী রীমা খাতুন (২০), ছেলে স্বাধীন (১), সাহাপুর গ্রামের শফি উদ্দিনের মেয়ে শান্তা (১৩), নাসির উদদিনের মেয়ে আইরিন (১২) এবং হাকিমপুর গ্রামের কুরমান আলী(৫৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কালুপোল গ্রাম থেকে আসা একটি আলমসাধু সরোজগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিলো। আলমসাধুটি যুগিরহুদা আবুল হোসেন দাখিল মাদরাসার নিকট পৌঁছুলে পাখিভ্যানকে অতিক্রম করার সময় পেছন থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয় এবং মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এ সময় আলমসাধুটি গতিরোধ করতে গিয়ে মাদরাসার দু ছাত্রীকে ধাক্কা মারে এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলমসাধুটিও উল্টে খাদে পড়ে যায়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা একই পরিবারের মানুয়ার, স্ত্রী রীমা খাতুন, ছেলে স্বাধীন এবং মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শান্তা ও আইরিন গুরুতর আহন হয়। এছাড়া আলমসাধুতে থাকা শিহাব, চালক শফি, ফজলুর রহমান এবং হাকিমপুর গ্রামের কুরমান আলীও মারাত্মক জখম হন। আহতরা সরোজগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসিতে পল্লি চিকিৎমকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও স্থানীয় লোকজন শিহাব ও ফজলুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।