চুয়াডাঙ্গার সরিষাডাঙ্গায় গুজবে কান দিয়ে তটস্থ গ্রামবাসী -ছেলেধরা সন্দেহে কয়েকটি গ্রামের লোকজনের এলাকা ঘেরাও

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুযাডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গা গ্রামে এক দরিদ্র কৃষকের বাড়ির পাশে বাঁশ বাগানে দুজন লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠেন কৃষকের স্ত্রী। তার চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এসে লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামের মাঠ ও রাস্তাগুলো ঘেরাও করে রাখে। গ্রামের কয়েকটি মাঠ ও রাস্তা ঘেরাও করেও কাউকে আটক করতে পারেনি গ্রামবাসী। গুজবে কান দিয়ে চলছে চরম আতঙ্ক গ্রামবাসীর মধ্যে।

জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গার সরিষাডাঙ্গা গ্রামের লালনের স্ত্রী মাসুরা নিজের সন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে পাশের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বাড়ির পাশেই বাঁশ ঝাড়ের পাশে দুজন লোককে দেখতে পেয়ে কারা জানতে চাইলে কোনো কথা বলেনি তারা। গৃহবধূ মাসুরা চিৎকার দিয়ে লোকজন ডাকলে ছায়ামূর্তি দুজন পালিয়ে যায়। ছেলে ধরা এসেছে গুজবটি সরিষাডাঙ্গা ও আশপাশ গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামের মাঠ ও রাস্তাগুলো ঘেরাও করে রাখে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি গ্রামবাসী।

গতকাল রাতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে লাঠিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে গ্রামের কিছু সংখক মানুষ। গ্রামের মাঠ ও রাস্তাগুলোতে পাহারারত জনতা। জানতে চাইলে লালনের স্ত্রী মাসুরা জানান, সন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে পাশের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড়ের পাশে দুটি ছায়ামূর্তি আবছা আলোয় চোখে পড়ে। এখানে কারা জানতে চাইলে কোনো কথা বলেনি তারা। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করলে দ্রুত মসজিদের পাশের গর্ত পার হয়ে ওই দুজন পালিয়ে যায়। কী উদ্দেশে তারা বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো তার কারণ জানে না বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে গ্রামবাসী জানায়, লালনের বাড়িটি মাঠের পাশে। বাড়িতে রয়েছে পালা গরু। গরু চুরির উদ্দেশে ফাঁকা বাড়ি পেয়ে চোর গরু চুরি করতে আসতে পারে। জানতে চাইলে মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ছেলে ধরার বিষয়টা নিতান্তই গুজব। হয়তো বা গরু চুরি করার উদ্দেশে চোর আসতে পারে।