চুয়াডাঙ্গার শঙ্করচন্দ্রে প্রেমের টানে স্বামীর সংসার ছেড়ে পালালো মামি ও ভাগ্নি ॥ অবশেষে বিয়ে

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: প্রেম না মানে জাত কুল। প্রেমের টানে স্বামীর সংসার ছেড়ে বিয়ের পিড়িতে বসলেন শঙ্করচন্দ্র গ্রামের মামি ও ভাগ্নি। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের ফুলবাড়ী গ্রামে। এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী গ্রামের সোহেলের স্ত্রী মুন্নি খাতুন জানান, প্রায় দুই বছর আগে ফুলবাড়ী গ্রামে সোহেলের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ফুলবাড়ী গ্রামের মিনারুলের ছেলে আতিকুলের সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর কিছুদিন পর তার স্বামী সোহেল তাকে নিয়ে শঙ্করচন্দ্র গ্রামে এসে বসবাস করতে থাকে। এরপর থেকে আতিকুল ও ফুলবাড়ী গ্রামের আলি হোসেনের ছেলে তুজ্জু হোসেন প্রায় শঙ্করচন্দ্র গ্রামে মুন্নির পিতার বাড়িতে দেখা করতে যায়। সে সুবাদে মুন্নির মামি শাবানা খাতুনের সাথে তুজ্জুর সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর পর তুজ্জু ও আতিকুল প্রস্তাব দেয় তাদের বিয়ে করার জন্য। কিন্তু তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে তুজ্জু ও আতিকুল মুন্নি ও সাবানাকে হুমকি দেয় বিয়ে না করলে রাতে তুলে নিয়ে যাব। তাদের কথামতো গত ১৬ দিন আগে সিদ্দিকুল ও তুজ্জু তাদেরকে নিয়ে ঝিনেইদহ কচাতলা আদর্শপাড়ায় বাসা ভাড়া করে দেয় এবং মাঝে মধ্যে সেখানে যাতায়াত করতো। এরপর গতকাল রাতে মোবাইলফোন করে বলে আগামীকাল কোঁটচাদপুর থেকে বিয়ে করা হবে। তুজ্জু ও আতিকুলের কথামতো আমরা দুজনে পাগলাকানাই মোড়ে হাজির হলে তুজ্জু ও আতিকুল মাইক্রোবাস নিয়ে তাদেরকে তুলে নিয়ে ফুলবাড়ীতে নিয়ে এসে বিয়ে করবে না বলে ছেড়ে দেয়। আমরা নিরুপায় হয়ে ফুলবাড়ী গ্রামের ছাদেক আলী মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে উঠি। মেম্বারের নিকট সকল ঘটনা খুলে বললে বিচারের আশ্বাস দেন। ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রাত ৮টা হতে ১০টা পর্যন্ত চলা সালিসসভায় উভয় পক্ষ বিয়েতে রাজি হলে কাজি ডেকে দেড় লাখ টাকা দেনমোহরে আতিকুলের সাথে মুন্নির এবং তুজ্জুর সাথে দু সন্তানের জননী শাবানার বিয়ে দিয়ে ছেলের বাড়িতে পাঠানো হয়। সালিসসভায় উপস্থিত ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ও ফুলবাড়ী গ্রামের মেম্বার ও উভয় গ্রামের মাতবররা। মামী ও ভাগ্নি প্রেমের টানে একসাথে চলে যাওয়াতে এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।