চুয়াডাঙ্গার মেয়ে ঝিনাইদহে স্বামীর নির্যাতনে হলেন লাশ

চুলোর গরম কড়াই সামলে মুরগি তাড়াতে বিলম্ব হওয়ায় বাড়ির উঠোনেই মারপিট!

 

বাজারগোপালপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তেঘরিয়ার মেয়ে সিমা খাতুন (২১) তার স্বামীর বাড়ি ঝিনাইদহের বাজারগোপালপুরে নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন। গতকাল রোববার ইফতারির আগে তাকে তার স্বামী ফিরোজ হোসেন বাড়ির উঠোনে পিটিয়ে দলেচটকে হত্যা করেছেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তেঘরিয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে সিমা খাতুনের সাথে আনুমানিক ৪ বছর আগে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ বাজারগোপালপুরের সাদেক আলীর ছেলে ফিরোজ হোসেনের। দেড় বছর আগে এদের সংসারে ফুটফুটে এক পুত্রসন্তান আসে। নাম রাখা হয় সিহাব। পরিবারেরই এক সদস্যের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, ফিরোজ বদরাগী হলেও সিমা তার সংসারে ভালোই ছিলেন। গতকাল রোজায় ছিলেন তারা। সন্ধ্যার আগে ইফতারি তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিলেন সিমা। ফিরোজ হোসেন বাড়ির উঠোনে বসে গরুর ঘাস চোরাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকটি মুরগি ঘাস ছিটিয়ে ঝামেলা পাকাচ্ছিলো। ফিরোজ তার স্ত্রীকে মুরগি তাড়াতে বলেন। সিমার চুলোয় তখন গরম কড়াই। চুলো-কড়াই সামলে মুরগি তাড়াতে কিছুটা বিলম্ব হতেই বদরাগী ফিরোজ ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। উঠোনেই চলে নির্মম নির্যাতন। এক পর্যায়ে সিমা খাতুন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে ফিরোজ তার পরিবারের এক সদস্যকে সাথে নিয়ে মৃতদেহ ঘরের আড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলোনোর চেষ্টা করতে থাকেন। মৃতদেহ আড়ায় ঝুলোতে পারলেই বলতেন, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে সুযোগ আর পাননি ফিরোজ। প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। প্রতিরোধের মুখে ফিরোজ সটকে পড়েন। পুলিশে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে গতরাতেই মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। আজ ঝিনাইদহ হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত করা হতে পারে। তবে গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলা হয়নি। ধরা পড়েনি ফিরোজ।