চুয়াডাঙ্গার ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলেন নূর-ই-আলম মোর্শেদা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নূর-ই-আলম মোর্শেদা যোগদান করেছেন। গত ৩ মার্চ তিনি ওই পদে যোগদান করেন। এর আগে তিনি তিন দফায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে নূর-ই-আলম মোর্শেদার যোগদানের খবরে ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। নূর-ই-আলম মোর্শেদা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে এ বিদ্যালয়ে আবারো ক্যাডেট কলেজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনাসহ লেখাপড়ার মানোন্নয়ন করা সম্ভব হবে। আগামীতে সকল পাবলিক পরীক্ষার (এসএসসি, জেএসসি ও পিএসসি) ফলাফলের ক্ষেত্রে হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে।

নূর-ই-আলম মোর্শেদার যোগদানের আগ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন কিশোরী মোহন সরকার। তিনি নড়াইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে বদলি হয়েছেন। বদলির প্রাক্কালে কিশোরী মোহন সরকার এ প্রতিবেদককে জানান, দেশের প্রথম শ্রেণির সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অন্যতম। দীর্ঘদিন পূর্ণমর্যাদার প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রশাসনিক ও পড়াশোনার মানের ক্রমশ অবনতির দিকে যেতে থাকে। অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছিলো। তিনি বলেন, আমি যোগদানের পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতায় সহকর্মীদেরকে নিয়ে মানোন্নয়নের চেষ্টা করেছি। তৃতীয় শ্রেণিসহ বিভিন্ন শ্রেণিতে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভর্তির প্রচলন বন্ধ করেছি। চলতি বছরে একজনকেও অনিয়ম করে ভর্তি করা হয়নি। আমি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর নূর-ই-আলম মোর্শেদার কাজের অনেক প্রশংসা শুনেছি। তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আগামীদিনগুলোতে স্বস্তিতে কাটাতে পারবো।

এদিকে নূর-ই-আলম মোর্শেদা বলেন, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৫০টি শিক্ষকের পদের বিপরীতে ৩৩ জন আছে। ১৭ জনের পদ খালি রয়েছে। বর্তমান সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থায় বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার্থীরা যথাযথ শিক্ষা পাবে না। যার প্রভাব পড়বে পরীক্ষায়। শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণে হুইপ ও জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। এছাড়া বিদ্যালয়ের পড়াশোনা মানোন্নয়নে সহকর্মী শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক সহযোগিতা চাই। চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।