চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুরে পানচুরির অভিযোগে একজনকে আটকে মারপিট : মারামারিতে আহত ৮ : উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার: পান চুরির অভিযোগে দীর্ঘ সময় ধরে মারপিটের এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার ভালাইপুর গ্রামে। গতকাল বিকেলে অহিদুল ইসলামকে ধরে পান চুরির অভিযোগে গ্রামেরই আলাতফ হোসেনের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। প্রতিবাদ করতে গিয়ে সুরত আলী, তার স্ত্রী সালমাসহ তারাচাঁন পিটুনির শিকার হন। অবশ্য অপর পক্ষের আলতাফ হোসেন, তার স্ত্রী রোকেয়া, ভাতিজা হুসাইন, দু ছেলে জামাল ও জাকিরও আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে। এরাও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন ও কামরুজ্জামানসহ কয়েকজনের পানবরজ রয়েছে গ্রামের অদূরবতী খাদিমপুর মোড়ে। এসব পানবরজ থেকে সম্প্রতি পান চুরির হিড়িক পড়েছে। পানবরজ মালিক আলতাফ হোসেনসহ কয়েকজন গ্রামেরই সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ওহিদুলকে আটক করে মারধর করতে থাকে। পান চুরির অভিযোগে মারধরের এক পর্যায়ে সন্ধ্যার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। অহিদুল নেশাখোর।
ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল বিকেলে আলতাফ হোসেনের ছেলে হাসান আলী ভালাইপুর মোড়ে অবস্থিত ভালাইপুর গ্রামের ইদু আলীর ছেলে তুফানের পানের দোকানে তাদের বরজের পান দেখে তুফানকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমি মজলিশপুরের ব্যাপারীর কাছ থেকে কিনেছি এবং তাদেরকে তা প্রমাণ করার পরও আলতাফের লোকজন তাকে মারধর করে চলে আসে। এ বিষয়ে তুফান ভালাইপুর মোড় বাজার কমিটির কাছে বিচার দিলে আগামীকাল (আজ) সালিস হবে বলে জানিয়েছে বাজার কমিটির লোকজন। তার কিছুক্ষণ পর ভালাইপুর গ্রামের ইসলামপাড়ার সিদ্দিক হোসেনের ছেলে ওহিদুলকে চোরাই পান নিয়ে ভালাইপুর মোড়ে ঘুরতে দেখে আলতাফের লোকজন তাকে ধরে গ্রামে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গ্রাম্য সালিসের আয়োজন করা হয়। ওহিদুলের পক্ষের কোনো লোক না থাকায় গ্রাম্য মণ্ডল শুকুর আলী ওহিদুলের পিতা সিদ্দিকের কাছে গেলে সে বলে আমি যাবনা আমার সন্তান যদি দোষী হয় আপনাদের বিচারে যা হয় তাই করবেন। ফিরে এসে সালিসে তাকে প্রথমবারের মতো ছেড়ে দেয়া হয়। তার পরপরই গ্রামে অপপ্রচার হতে থাকে ওহিদুলকে মেরে ফেলা হয়েছে। মৃত্যুর খবর শুনে ওহিদুলের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করতে এলে হামলায় ওহিদুলের পরিবারের ৩জন ও আলতাফ পরিবারের ২জন উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়। হামলায় ওহিদুলের বোনাই ঘরজামাই সুরাপ আলীর এক পা ভেঙেছে। তার ছেলে তারাচাঁনের শরীরে অনেক স্থানে কেটে যাওয়ায় ১৪টি সেলাই দেয়া হয় সেই সাথে তারার মা সালেহা, আলতাফ ও তার ছেলে হাসান গুরুতর আহত হয়। আহতরা সবাই বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। হামলার খবর পেয়ে গোকুলখালী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থলে যান। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।