চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুরে জেআর পরিবহন গাছে ধাক্কা : আহত ১২

আলুকদিয়া প্রতিনিধি: ইটভাটায় মাটি আনা-নেয়ার কারণে চুয়াডাঙ্গার বেশির ভাগ পাকা সড়ক মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। মাটি বৃষ্টিতে কাদা জমে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে চলাচলকারী মানুষ দুর্ঘটনায় পড়ছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের ভালাইপুরে পাকা সড়কে কাদা জমে, তেমনি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে অনেকেই। এখন ওই কাদা-সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ, যানবাহন। এতে দুর্ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার ভোর হতে না হতেই মোটরসাইকেল আরোহীদের ধপাধপ রাস্তায় পড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে হাসছে আর গুনছে কতোজন পড়লো। এরই মাঝে জেআর পরিবহনের একটি ঢাকাগামী বাস সজোরে এসে ধাক্কা মারে রাস্তার পাশে বড় গাছে। এতে বাসে থাকা ১০ যাত্রী আহত হন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন। তবে তারা সকলেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ভালাইপুর মোড়ের ইটভাটার ট্রাক্টরে করে মাটি আনার কারণে রাস্তায় প্রচুর মাটি পড়েছিলো। পরশু রাতে বৃষ্টির কারণে গতকাল ভোর থেকেই রাস্তাটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়। গতকাল ভোরে একের পর এক মোটরসাইকেল আরোহী ভালাইপুর মোড় পানের হাটের কাছাকাছি এসবিএম ইটভাটার সামনের পাকা রাস্তার ওপর পড়তে থাকে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অনেকেই বিষয়টি দেখে হাসছিলেন আর কতোজন আরোহী পড়লো গুনছিলেন। পড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল আরোহীর সংখ্যাও কেউ বলছিলেন ৩৫, কেউ বলছিলেন ৩৮। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মেহেরপুর থেকে ছেড়ে আসা জেআর পরিবহনের (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৬৫৬১) গাড়িটির সামনেও একজন মোটরসাইকেল আরোহী পড়ে যান। তাকে বাঁচাতে ব্রেক করলেও গাড়িটি রাস্তার ওপর না দাঁড়িয়ে প্রায় ৩০ গজ দূরে থাকা একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে থেমে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা ১০ যাত্রী আহত হলেও তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরেছেন। এ সময় স্থানীয় জনগণ প্রায় ৪০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে ভাটামালিকদের শাস্তির দাবি করেন। পরে ভাটামালিকরা রাস্তায় সুড়কি ফেলে কাদা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে দুপুরের আগে থেকেই শুরু হয় আর এক ধরনের বিপদ, রাস্তায় প্রচণ্ড ইটের গুড়ো উড়তে থাকে। এতে রাস্তায় চলাচল আরো কষ্টকর হয়ে পড়ে। পুনরায় যাতে ভাটা মালিকগণ এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।