চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়া মাঠে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে বোশেখি মেলা

ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল-জরিমানা : উদ্যোক্তা পাঁচজনকে খুঁজছে পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার: জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে চুয়াডাঙ্গা সদরের বড়শলুয়া মাঠে বোশেখি মেলার নামে চলছিলো অশ্লীল নৃত্য, জুয়োর আসর আর বেহায়াপানা। বিষয়টি জেলা প্রশাসন জানতে পেরে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মেলার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অপরাধে একজনের ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একজনকে করেছে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মেলার প্রধান উদ্যোক্তা আরাফাত, ছানোয়ার মেম্বার, মোকলেছুর, সরোয়ার মহুরার ও বাবুল গাঢাকা দিয়েছে।
আদালত ও এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে আরাফাত রহমান স্বপন বোশেখি মেলার নামে ১০ মে ৩ দিনের অনুমতি নেন জেলা প্রশাসন থেকে। অনুমতিপত্রের উল্লেখিত নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে বোশেখি মেলার নামে পুলিশের সহযোগিতায় বড়শলুয়া বেলে মাঠে মন্টু মিয়ার জাদু প্রদর্শনীর আড়ালে অশ্লীল নৃত্য, জুয়োর আসর ও বেহায়াপানা চলতে থাকে। ১২ মে মেলার অনুমতি শেষ হলেও মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ মেলা চালাতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মেলার মাঠে অভিযান চালান। এ সময় মেলা চালানোর অনুমতিপত্র দেখতে চান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। বিচারকের নিকট দুটি অনুমতিপত্র নিয়ে দেখাতে যান বড়শলুয়া গ্রামের তোফাজেল হোসেনের ছেলে হুমায়ুন কবির মিলন। একটি ১২ তারিখ পর্যন্ত মেয়াদ এবং অপরটিতে বর্ধিত মেয়াদের কাগজ। বর্ধিত অনুমতিরপত্রে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ হয় বিচারকের। এ সময় মিলন ও জাদু প্রদর্শনকারী কোটচাঁদপুরের মন্টু মিয়ার ছেলে পিন্টুকে গ্রেফতার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। মেলার নামে বেহায়াপানা ও অনুমতিপত্র জাল করার অপরাধে গ্রেফতারকৃত মিলনের ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পিন্টুকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ভূমি কমিশনার এসিল্যান্ড বাদিউজ্জামান।
গ্রামবাসী অভিযোগ করে জানায়, শুরু থেকেই গ্রামের মধ্যে মেলার নামে এ ধরনের আয়োজন করা হলে কিছু লোক প্রতিবাদও করে। প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে মেলার আয়োজকরা মারমুখি হয়ে ওঠে। এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মেলার প্রধান উদ্যোক্তা খাড়াগোদা গ্রামের আ. গফুরের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেন, গড়াইটুপি গ্রামের ডাক্তার ইউনুচের ছেলে বাবলু, বড়শলুয়া গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে আরাফাত রহমান স্বপন, সরোয়ার মহুরার ও ফজের আলী মেম্বারের ছেলে মোখলেছুর রহমান গাঢাকা দিয়েছে।