চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরে হাটের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ৮টি পাকাঘর নির্মাণ:অপসারণের দাবি

 

বেগমপুর প্রতিনিধি:চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর সাপ্তাহিক হাটের জায়গা দখল করে কতিপয় দখলদার স্থায়ীভাবে নির্মাণ করেছেন পাকা দোকানঘর। সাপ্তাহিক হাটের দিন দোকানপাট বসাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চরম ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে। অবৈধপাকা দোকানঘর অপসারণের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীমহল।

এলাকাবাসী জানায়, ১৯৩০ সালে এলাকার হাতে গোনা কয়েকজন সবজিচাষি তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বেগমপুর বিলের ধারে একটি সাপ্তাহিক হাট বসায়। যেখান থেকে সাপ্তাহে দুদিন এলাকার মানুষ তাদের দৈনন্দিন শাকসবজি কেনাকাটার কাজ করতো। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে হাটেরও গুরুত্ব বাড়তে থাকে। ইউনিয়নের হিজলগাড়ি বাজারের পরেই একমাত্র বেগমপুর হাটটিই ছিলো বিকিকিনির জায়গা। ১ একর ৪ শতক খাস জমির ওপর হাটের গুরুত্ব বুঝে সরকার দুটি টিন সেডের ঘরও নির্মাণ করে দেয়। দেড় যুগ আগেও এ হাটে কোনো স্থায়ী পাকা ঘর ছিলো না। বাংলা ১৩৯৪ সাল থেকে হাটটি ইজারা দেবার আওতায় আনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ ১৬২০ বঙ্গাব্দে ১৬ হাজার ৫শ টাকায় ইজারা দেয়। বছর দশেক আগ থেকে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি অস্থায়ী ভিত্তিতে চায়ের দোকান গড়ে তোলে। চা বিক্রির একপর্যায় সুযোগ বুঝে সরকারি এ হাটের জায়গা দখল করে স্থায়ী পাকা মুদি দোকান নির্মাণ করেন রব্বেল ডাক্তারের ছেলে কালু ১টি, ইছাহাকের ছেলে ফাদিদুল ২ রুম বিশিষ্ট ২টি, আমদ আলীর ছেলে আজিজুল ২ রুম বিশিষ্ট ১টি, আমিনদ্দিনের ছেলে জহিরদ্দিন ১টি, নজির আহম্মেদের ছেলে ছায়েদ আলী ১টি ও সুরত আলীর ছেলে ছিনামত ১টি করে পাকা ঘর তৈরি করেন। ফলে হাটের জায়গা ছোট হয়ে আসে। সাপ্তাহে শুক্র ও সোমবার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট বসাতে পড়ে ভোগান্তিতে। সরকার বাহাদুরকে না জানিয়ে অবৈধভাবে পাকাঘর তৈরি করার বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ভূমি অফিস এক বছর আগে দখলিয় ঘরের জায়গা মাপযোগ করে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। যাতে করে পাকা ঘরের মালিকেরা সরকারের রাজস্বর আওতায় আসে। এব্যাপারে বেগমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বজলুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে অবৈধ দোকান ঘরের মালিক ইছাহাক, কালু অকপটে বলেন, আমাদের ড্রেড লাইসেন্স এবং সাপ্তাহিক খাজনা দেয়া ছাড়া বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। এদিকে এলাকাবাসী ঐতিহ্যবাহী এ হাটের জায়গা দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।