চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন পানহাটে ছিটকাটার নামে টাকা কেটে রাখা হয় : কথিত ছিট কাটার বিরুদ্ধে একাট্টা হচ্ছে পানচাষিরা

স্টাফ রিপোর্টার: পানের হাটে কথিত ছিট কাটার বিরুদ্ধে এবার একাট্টা হতে শুরু করেছেন পানচাষিরা। দীর্ঘদিনের অবৈধ এ রেওয়াজ তারা ভাঙতে চান। অবৈধভাবে জোরপূর্বক কেন ছিট কেটে নেয়া হবে? এ প্রশ্নের জবাব চান তারা। তাদের দাবি তারা বৈধভাবে হাটে পান বিক্রি করেন। এ জন্য খাজনাও দেন। তবে কেন পানবেপারীরা জোরপূর্বক ছিট কেটে রাখবেন? চুয়াডাঙ্গা জেলার কোনো পানের হাটে আর ছিট কাটতে দেয়া হবে না বলে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

জানা গেছে, পানচাষিরা যখন হাটে পান বিক্রি করেন, তখন পানের টাকা দেয়ার সময় শতকরা ২ থেকে ৪ টাকা কেটে রাখেন বেপারিরা। এ রেওয়াজকে বলে ছিট কাটা। এভাবে টাকা কেটে নেয়ার কোনো বিধি-বিধান না থাকলেও বেপারিরা দীর্ঘদিন ধরেই পানচাষিদের কাছ থেকে এভাবে টাকা কেটে রাখেন। তবে আগে শতকরা ১ থেকে ২ টাকা ছিট কাটা হলেও ইদানীং বেপারীরা ৪ টাকা হারে ছিট কাটছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার কোনো না কোনো স্থানে প্রতিদিনই পানের হাট বসে। চুয়াডাঙ্গা নিচের বাজারে, মুন্সিগঞ্জ পশুহাট চত্বরে, মুন্সিগঞ্জে, নীলমণিগঞ্জে, ভালাইপুর, গোকুলখালী, আসমানখালীসহ ছোটখাটো অনেক পানের হাট বসে জেলার বিভিন্ন স্থানে। এসব হাটে পানচাষিরা পান বিক্রি করতে গেলেই কথিত ছিট কাটেন বেপারিরা। দীর্ঘদিন এভাবে চললেও এবার চাষিরা ফুঁসে উঠেছেন। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের বেশ কিছু পানচাষি ছিট কাটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।

গতরাতে তাদের কয়েকজন দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পানবেপারীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন। এদের মধ্যে আতিয়ার সরকার, রবিউল শেখ বলেন কোন বৈধতা নিয়ে বেপারীরা আমাদের কাছ থেকে ছিটের নামে টাকা কেটে নেবে তা আমরা জানতে চায়। আমরা হাটে খাজনা দিয়ে পান বিক্রি করি। সেখানে জোর করে ছিট কেটে নেবে তা হতে দেয়া যায় না। তারা বলেন, আমরা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন সাহেবের কাছেও গিয়েছি। তাকেও বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা জেলার সব পানচাষিকে ছিট কাটার বিরুদ্ধে একাট্টা হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা কেউ ছিট দেবেন না। এরপরেও যদি জোর করে ছিট কাটার নামে টাকা কেটে রাখা হয় তাহলে জেলার পানচাষিদের সাথে নিয়ে আমরা যেকোনো ধরনের আইনি সহায়তা নিতে বাধ্য হবো। মাথাভাঙ্গায় অভিযোগকারীদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাজরাহাটির পানচাষি সোনা মিয়া, কাজল, হাবিব, স্বপন, সাইদ, রমজান, নুরুজ্জামান মুন্সী, টিপু সুলতান প্রমুখ।