চুয়াডাঙ্গার পৃথক স্থানে বিদ্যুতস্পৃষ্টে আহত দেবর-ভাবীসহ ৩

পিতাকে বিকল সুইচ দেখাতে গিয়ে প্রাণ হারালো শারমীন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক স্থানে বিদ্যুতস্পৃষ্টে এক কিশোরীর মৃত্যুসহ আহত হয়েছেন ৩ জন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নিজেদের বাড়ির বৈদ্যুতিক সুইচ দেখাতে গিয়ে পিতার সামনেই বিদ্যুতস্পৃষ্টে প্রাণ হারায় ১৪ বছরের শারমীন আক্তার। সে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের কাথুলী গ্রামের আলাউদ্দীনের মেয়ে। বিদ্যুতস্পৃষ্টে যারা আহত হয়েছেন তারা হলেন- জাফরপুরের জামাল উদ্দীনের ছেলে মনিরুজ্জামান (২৫), আলুকদিয়া বাজারের টিটু রহমানের স্ত্রী বেবি খাতুন (২৫) ও হাসেম আলীর ছেলে নিপুন (১১)। এদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা কাথুলীর আলাউদ্দীনের নতুন বাড়ির একটি ঘরের বৈদুতিক সুইচবোর্ডের সুইচ বিকল হয়। পরিবারের সদস্যরা মিস্ত্রি ডাকতে বলে। আলাউদ্দীন মিস্ত্রিকে খবরও দেন। এরই মাঝে বিকল সুইচটি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে পিতাকে দেখাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় কিশোরী শারমীন আক্তার। সে সুইচ বোর্ডে হাত দিতেই বিদ্যুতস্পৃষ্টে থমকে যায়। তাকে বাঁচাতে পিতা এগিয়ে গেলে পিতা আলাউদ্দীনও আহত হন। পরিবারের এক সদস্য এ দৃশ্য দেখে দ্রুত মেন লাইনের কাটআউট তথা ফিউজ খুলে দেন। আহত শারমীন আক্তারকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক ডা. সউদ কবীর জন মৃত ঘোষণা করেন। শারমীন আক্তার কাথুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। আজ রোববার সকাল ১০টায় নিজ গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

এছাড়া গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে জাফরপুরের মনিরুজ্জামান মসজিদের পাশের জঙ্গলে মিছওয়াক ভাঙতে গেলে বিদ্যুতস্পৃষ্টে আহত হন। স্থানীয়রা এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, মেন লাইনের একটি তার ছিড়ে পড়ে থাকায় তাকে বিদ্যুতস্পৃস্ট হতে হয়েছে। সামান্যের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়া বাজারের হাসেমের ছেলে কিশোর নিপুন চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার ভাবী বেবী খাতুনও আহত হন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। দুজনকেই উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।