চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড় বাস কাউন্টারে সংঘর্ষ : দুই রুটে বাস চলাচল ব্যাহত : তিন দিনের আল্টিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বাস কাউন্টার দখল নিয়ে শ্রমিক ও স্থানীয় যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে একজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার পর জেলা বাস মিনিবাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ দুটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় বাসস্টন্ডে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ তিন দিনের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন বন্ধ ঘোষণার আল্টিমেটাম দিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপেরে সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় বাদালপাড়ার মো. পুকুর ছেলে রানা ও একই গ্রামের রাশেদসহ কয়েজন দৌলাতদিয়াড় কাউন্টারে এসে টেবিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে এবং হুমকি দেয় কাউন্টার দখল করে নেবো। এছাড়া মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। এরই হিসেবে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কাউন্টারে এসে কর্মরত স্টার্টারগণকে মারধর করে এবং সশস্ত্র অবস্থায় পরিবহন চালকদের ওপর চড়াও হয়। তারা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে কয়েকটি অটোবাইকের গ্লাস ভাঙচুর করে। ফলে পরিবহন শ্রমিকরা জান মালের নিরাপত্তার অভাবে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন। জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আগামী ৩ দিনের মধ্যে আসামিদেরকে ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে পরবর্তীতে জেলার সকল যানবাহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিদওয়ান আহ্ম্মেদ রানা দৌলাতদিয়াড় বাদালপাড়ার হাশেম আরীর ছেলে। তার মা ফিরোজা খাতুন বলেছেন, ‘তিন দিন আগে আমার ছোট ছেলে মাসুম বাসে মেহেরপুরে যাচ্ছিলো। বাসভাড়া নিয়ে বাসের সুপারভাইজারের সাথে তার বাগবিতণ্ডা হয়। মাসুমকে মারধর করে। পরে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা হয়। এরপর আজ (শনিবার) স্ট্যান্ডে গেলে রানা, বিদ্যুত ও সেতুসহ কয়েকজন আমার ছেলে রানাকে মারধর করে।’