চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামে গড়ে উঠেছে নয়া মাদকের ঘাঁটি : রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্নে অনেকেই হচ্ছে বিপদগামী

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান যোগদানের পর থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তাই তো পুলিশ প্রশাসনকে মাদককারবারিকে গ্রেফতার ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কোনো প্রকার আপস না করারও নির্দেশ দিয়েছেন। চিহ্নিত এলাকায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকায় নতুন করে নয়া মাদকের ঘাঁটি গড়ে উঠেছে বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামে। প্রায়ই এ গ্রামের মাদককারবারিরা মাদকসহ ধরা পড়ছে জেলা বা জেলার বাইরে। বরাবরের মতই ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে মূলহোতারা। অজ্ঞাত কারণে স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে নিরব। এর থেকে পরিত্রাণ চাই গ্রামবাসী।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের মাদকের ঘাঁটি নামে বেশ পরিচিত আকন্দবাড়িয়া এবং রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রাম। তাই গ্রামের বদনাম ঘুচাতে পুলিশ প্রশাসন লাগারতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আর এ সুযোগে একই ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামে গড়ে উঠেছে নয়া মাদকের ঘাটি। বিভিন্ন পেশার পাশাপাশি বেশ কিছু উঠতি বয়সি যুবক ফেনসিডিল ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। তাই তো প্রায় সময় এ গ্রামের মাদককারবারিরা মাদকসহ ধরা পড়ছে প্রশাসনের হাতে। প্রশাসনের হাতে চুনপুটিরা ধরা পড়লেও ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায় হোতারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ইদ্রিস খার ছেলে গরু ব্যবসায়ী জীবন খা, ইব্রাহী প্রধানের ছেলে রিপন এবং আব্দুর রাজ্জাক প্রধানের ছেলে মেছের আলী ওরফে নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে মাদকের ঘাঁটি। যদিও কয়েকদিন আগে নাসির ২৩৬ বোতল ফেনসিডিলসহ পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে আছে। তারপরও খালেক শাহর ছেলে হালিম, রহিম খার ছেলে আসাদুল, সুলতানের ছেলে রমজান, মফিজ উদ্দিনের ছেলে সোহাগ, নপতি মান্নানের ছেলে সাদ্দাম, সিরাজ প্রধানর ছেলে বাবু, আশরাফের ছেলে রফিক, মুনছুরের ছেলে মাহফুজসহ ২০-২৫ জন মাদককারবারি থেমে নেই। এদের মধ্যে কয়েকজন বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বাড়িও ফিরেছে। আর মূলহোতাদের মাদক বহন অথবা যোগান দিতে গিয়েই এরা মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। অজ্ঞাত কারণে এসব মাদককারবারিদের ব্যাপারে হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশ রয়েছে নিরব। জীবনের ঝুঁকি থাকায় স্থানীয় পুলিশের নিকট তথ্য দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে গ্রামবাসী।

অপর দিকে মাদককারবারিরা এতোটাই বেপরোয়া যে তাদের বিরুদ্ধে কেউ সাহস করে মুখ খুলতে পারে না। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, মাদককারবারিরা যতো শক্তিশালীই হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। দোস্ত গ্রামের মাদকের ঘাঁটি উৎপাটন করতে পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গ্রামবাসী।