চুয়াডাঙ্গার দীননাথপুরে শাবল মেরে সৎ মেয়েকে হত্যার চেষ্টা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দীননাথপুরে পরকীয়া দেখে ফেলায় শাবল মেরে মেয়েকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এক সৎ মা। মেয়ে স্কুলছাত্রী অনামিকা প্রাণে বেঁচে গেলেও রক্তাক্ত জখম হয়েছে সে। অনামিকার চিৎকার শুনে তার চাচি ছুটে এসে তাকে রক্ষা করে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দীননাথপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় অনামিকাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে দীননাথপুর গ্রামের কাতার প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

অনামিকা খাতুন ও তার চাচি রোকেয়া বেগমের কাছ থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে লেখপড়ার জন্য জেগে ওঠে অনামিকা। এ সময় সে টিউবওয়েলে হাত-মুখ ধুতে যায়। পেছন থেকে শাবল নিয়ে আচমকা অনামিকার ওপর হামলে পড়ে সৎমা মুন্নি খাতুন। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের পর পেটে শাবল মারতে গেলে অনামিকার চাচি রোকেয়া বেগম ছুটে এসে তাকে রক্ষা করেন।

এলাকাসূত্রে জানা গেছে, অনামিকা খাতুন স্থানীয় কুকিয়াচাঁদপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। তার পিতা আনোয়ার হোসেন কাতার প্রবাসী। আনোয়ার হোসেন কাতারে থাকার সময় তার প্রথম স্ত্রী অন্যের হাত ধরে চলে যান। পরে তিনি দেশে ফিরে মাস কয়েক আগে দ্বিতীয় বিয়ে করে বাড়িতে রেখে পুনরায় কাতারে চলে যান। ওই পক্ষের মেয়ে অনামিকা তার মায়ের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখে। এটা চান না তার পিতা আনোয়ার ও সৎ মা মুন্নি খাতুন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে অনামিকা তার মায়ের সাথে মোবাইলে কথা বলছিলো। এটা তার সৎ মা দেখে সহ্য করতে না পেরে শাবল দিয়ে মারধর করেন। এতে অনামিকার মাথা, গলা ও পিঠে রক্তাক্ত জখম হয়। সে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অনামিকা বলেছে তার সৎ মায়ের বিরুদ্ধে সে থানায় মামলা করবে।