চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় শিবির-পুলিশ সংঘর্ঘ : গুলিবিদ্ধ হয়ে শিবিরকর্মী রফিকুল নিহত

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের মুক্তির দাবিতে মিছিল : পুলিশের ডিআইজির ঘটনাস্থল পরিদর্শন : পুলিশ র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন

আজ দোয়া দিবস কাল বিক্ষোভ এবং পরশু রোববার চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ায় অর্ধদিবস হরতাল

 

দর্শনা অফিস: দর্শনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রশিবিরকর্মী রফিকুল ইসলাম (২৩) নিহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দর্শনায় মিছিলের সময় পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। দর্শনা হল্টস্টেশনের অদূরে তার মাথার পেছন থেকে গুলি লাগে। গুলিতে খুলি উপড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। লাল রক্তে ঘটনাস্থল লাল হয়ে ওঠে। তটস্থ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

পুলিশের গুলিতে ছাত্রশিবিরকর্মী রফিকুল নিহত হওয়ায় তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দোয়া দিবস। আগামীকাল শনিবার বিক্ষোভ। রোববার চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলায় অর্ধদিবস (সকাল ৬টা থেকে ২টা) হরতাল।

DIG KHULNA ZONE

পুলিশ বলেছে, সংঘর্ষের সময় পুলিশের ওসিসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর তরফে জানানো হয়েছে, মিছিলটি যখন ফিরে যাচ্ছিলো তখন পেছন থেকে পুলিশ গুলি ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ছাত্রশিবিরকর্মী রফিকুল ইসলাম। সে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়ার দেলোয়ার শেখের ছেলে। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলো সে। রফিকুলসহ তার এলাকার আরও বেশ কয়েকজন গতকাল দুপুরের পর দর্শনার উদ্দেশে রওনা হয়। মিছিলে যোগ দেয়। মিছিল করে তার আর বাড়ি ফেরা হলো না। মিছিলে থাকা আব্দুল্লাহ, জাহিদ, শাকিল ও শফিকুল নামে চার শিবিরকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেলেও তাদেরকে কোথায় নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তা অবশ্য শিবির বা জামায়াতের তরফে জানানো হয়নি। পুলিশের যারা আহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে, তারা হলেন- শিবিরকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান হাবীব, দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান, দামুড়হুদা থানার এসআই ইব্রাহিম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই আলাউল, কনেস্টবল সাজেবুল, করিব ও হাসান ।

লাশ গতরাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে রাখা হয়। আজ শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে তার নিকজনদের নিকট হস্তান্তর করা হতে পারে। ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাথে ছিলেন দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিবসহ থানার প্রায় সকল অফিসার ও কনস্টেবল। পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাত আটটার দিকে খুলনা বিভাগের ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাতেই চুয়াডাঙ্গার চার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অদল-বদল করে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেলেও দায়িত্বশীলসূত্র অবশ্য তা নিশ্চিত করেনি। দামুড়হুদা থানার ওসিকে কোট ইন্সপেক্টর এবং কোট ইন্সপেক্টরকে দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ করা হয়েছে বলে রাতেই খবর পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদকে থানা পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের মুক্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিলো বিক্ষোভ মিছিল। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল তিনটার দিকে দর্শনা রেলবাজার এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছুলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় শিবিরের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়াপাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দর্শনা হল্টস্টেশন এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে শিবিরকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। বেশ কিছু সময় ধরে পুলিশের ওপর ইটপাটখেল ছোড়ার এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার উপক্রম ঘটে। এ সময় শিবিরকর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলিবর্ষণ করতে থাকে। শিবিরকর্মীদের ওপর পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। হল্টস্টেশনের রেলগেটে গুলিবিদ্ধ হয় মিছিলকারী ছাত্রশিবিরকর্মী রফিকুল নিহত হয়।

ঘটনার ঘণ্টাখানেক পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বলেন, জামায়াত-শিবিরের লোকজন দর্শনার পূজামণ্ডপে হামলার চক্রান্ত করে। সেদিকে তারা যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। রফিকুল নামের একজন ছাত্রশিবিরকর্মী নিহত হয়েছে। পুলিশের একজন ইন্সপেক্টরসহ আহত হয়েছেন পাঁচজন। এদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া  হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি রুহুল আমীন বলেছেন, পুলিশের উসকানিমূলক গুলিতে শিবিরকর্মী রফিকুলের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল আর পূজামণ্ডপের দূরত্ব অনেক। জামায়াত ও ছাত্রশিবির কেন পূজামণ্ডপে হামলা চালাতে যাবে? পুলিশ উসকানিমুলক গুলিবর্ষণ করে ছাত্রশিবিরকর্মীকে হত্যা করে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

POLICE ACTION

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত লাশ উদ্ধার করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। দর্শনার পরিবেশ থমথমে হয়ে ওঠে। বাসস্ট্যান্ড ও হল্টস্টেশন এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দেন দোকানিরা। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছুনোর পূর্বে পুলিশ ছিলো মারমুখি। কর্মকর্তাদের উপস্থিতির পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও ফুঁসতে থাকে সাধারণ মানুষ। দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান হাবীব বলেছেন, শিবিরকর্মীরা দর্শনা কেরুজ হরিজন সম্প্রদায়ের পূজা মন্দিরে হামলা চালালে বাধা দেয়া হয়। শিবিরকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান হাবীব, দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান, দামুড়হুদা থানার এসআই ইব্রাহিম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে হরিজন সম্প্রদায় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুরেশ বাশফোর বলেছেন, পূজা মন্দিরে হামলা হয়নি। তবে মিছিলকারীরা প্রধান সড়কে আলোকসজ্জার দুটি টিউবলাইট ভেঙেছে।

ঘটনার পর থেকেই দর্শনা বাসস্ট্যান্ড ও হল্টস্টেশন এলাকায় মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি। বিকেল থেকেই পুলিশের দফায় দফায় অভিযান ও মহড়া ছিলো চোখে পড়ার মতো। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিবিরকর্মী সন্দেহে ৪/৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের খুলনা বিভাগের কমিশনার এসএম মনিরুজ্জামান মনি। তিনি হরিজন সম্প্রদায়ের পূজা মন্দির ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় পুলিশ কমিশনারের সাথে ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরী, র‌্যাব-৬’র ঝিনাইদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এসপি হারুন অর রশিদ, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন, দামুড়হুদা থানার এএসপি (প্র.বি.) আসাদুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ আহসান হাবীবসহ কর্মকর্তারা।

এদিকে জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল হক মালিক দাবি করেছেন, তারা মণ্ডপে হামলা চালায়নি। তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায় পুলিশ। পুলিশের গুলিতে শিবিরকর্মী রফিকুল মারা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। পরবর্তীতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই দর্শনা তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমানকে দায়ী করেছেন। তারা বলেছেন, কোথায় পূজামণ্ডপ আর কোথায় শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল? পূজামণ্ডপ থেকে ঘটনাস্থল প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শিবিরের সভাপতি হাফেজ বেলাল হোসেন জানান, শিবিরকর্মী রফিকুল ইসলাম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শিবিরের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে আছে- আজ শুক্রবার দোয়া দিবস, শনিবার বিক্ষোভ ও রোববার চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলায় অর্ধদিবস (সকাল ৬টা থেকে ২টা) হরতাল পালিত হবে। শান্ত দর্শনাকে অশান্ত করে তোলার জন্য স্থানীয় বিএনপি পুলিশকেই দোষারোপ করেছে।

দর্শনায় শিবিরের মিছিলে গুলি চালিয়ে ছাত্রশিবিরের সাথী চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র রফিকুল ইসলামকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি হাজি মো. মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ছাত্রশিবির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দর্শনায় শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল বের করলে বিনা উসকানিতে পুলিশ নির্বিচারে গুলিবষর্ণ করে ছাত্রশিবিরের সাথী চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র মো. রফিকুল ইসলামকে হত্যা করে এবং বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে। এ ধরণের ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একইভাবে বিবৃতি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং যুবদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ওলামাদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, মহিলাদল ও জাসাস।

Rofiqul Islam Shibir

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদকে গ্রেফতারের নিন্দা ও মুক্তি দাবি। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য  হাজী মো. মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জামান দুদু। নেতৃদ্বয় বলেন, জীবননগরে পারিবারিক কাজ শেষ করে চুয়াডাঙ্গায় ফেরার পথে বিনা কারণে দর্শনায় পুলিশ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদকে গ্রেফতার করে। পুলিশ কর্তৃক হয়রানিমূলক গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে জানিয়ে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার জোর দাবি জানান মোজাম্মেল হক ও শামসুজ্জামান দুদু। একইভাবে বিবৃতি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি, জেলা যুবদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ওলামাদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, মহিলাদল ও জাসাস।

এমএ তালহা জানিয়েছেন, গতকাল বিকেলে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদকে কোন যুক্তি সংগত কারণ ছাড়ায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে গ্রেফতার করে। ছাত্রদল নেতা মঞ্জুরুল জাহিদ তার ব্যক্তিগত কাজে জীবননগর থেকে মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিলেন। দর্শনায় ঘটে যাওয়ার ঘটনার সাথে তার দুরতম সম্পর্ক নেই। প্রশাসন কর্তৃক অন্যায়ভাবে এ গ্রেফতারের নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী ছাত্রদল চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা সেই সাথে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছে। যদি তা না হয় তাহলে জেলা ছাত্রদল কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।

বিবৃতি দাতারা হলেন: জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ-উর-জামান সিজার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য এম.এ তালহা, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ মো. রাজিব খান, জেড এম তৌফিক খান, সোহেল আহমেদ মালিক সুজন ও মোমিনুর রহমান মমিন।

গতকাল বৃহস্পতিবার কেদারগঞ্জ জেলা বিএনপি একাংশের কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা বিএনপির জরুরিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দর্শনায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সভা থেকে আগামী রোববার শিবির কর্তৃক আহুত হরতালে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস।