চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহ সোনালী ব্যাংকের অফিসার সুবীর কুমার ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের নিকট ঘুষ দাবি

অসৌজন্যমলক আচর ও হয়রানি করার অভিযোগ

 

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: সোনালী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহ শাখার অফিসার সুবীর কুমার ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ মেয়াদী আরডিপিএস গ্রাহকদের নিকট হতে ঘুষ দাবি, অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গ্রাহক শঙ্করচন্দ্র গ্রামের মৃত আকমান আলীর ছেলে আবু সাইদ, আজিবার রহমানের ছেলে ইসমাইল, সাইদুল ইসলামের ছেলে মহাতাব আলী, সোহরাব হোসেনের ছেলে মিঠুন, পিজির উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গির আলম জানান, তারা সোনালী ব্যাংক ডিঙ্গেদহ শাখায় কেউ ২শ টাকা আবার কেউ ৩শ’ টাকা মাসিক কিস্তিতে ৭ বছর মেয়াদী আরডিপিএস হিসাব খুলেছিলেন। গত দু মাস আগে তাদের আরডিপিএসর মেয়াদ শেষ হলে ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক অফিসার সুবীর কুমার ব্যানার্জী দু মাস পরে আসতে বলেন। দু মাস পেরিয়ে গেলে গতকাল বুধবার ব্যাংকে টাকা উত্তোলনের জন্য গেলে ব্যাংক অফিসার সুবীর কুমার ব্যানার্জী মাথাপিছু ২শ টাকা করে ঘুষ দাবি করে। এ সময় ঘুষের টাকা দিতে না চাইলে অভিযুক্ত ব্যাংক অফিসার গ্রাহকদের টাকা দিতে অস্বীকার করেন এবং তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পরে গ্রাহকগণ শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিসি গ্রাহক আব্দুর রাজ্জাককে সাথে নিয়ে ব্যাংকে যান। আ. রাজ্জাকের সাথেও খারাপ আচরণ করেন ব্যাংক অফিসার। এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাকের নিকট জানাতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনাটি সাথে সাথে সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মো. আমির হোসেনকে মোবাইলফোনে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও ওই ব্যাংক অফিসার ৩০/৪০ জন গ্রাহকের টাকা না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরাচ্ছেন। অনেকেই ক্ষোভের সাথে জানিয়ে বলেন, বড়লোকদের লাখ লাখ টাকা মেরে এখন আবার গরীব মানুষের টাকা মেরে খেতে শুরু করেছে ব্যাংক অফিসার। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা ফুঁসে উঠেছে এবং অবিলম্বে ব্যাংক অফিসার সুবীর কুমার ব্যানার্জীর অপসারণসহ শাস্তির দাবি জানিয়েছে।