চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহে স্কুলছাত্রকে সর্প দংশন

 

দিনভর ওঝার ঝাড়ফুঁকে ফল না পেয়ে অবশেষে হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সর্প দংশনে মৃত্যু যন্ত্রনায় হাসপাতালে ছটফট করছে সজিব নামের এক স্কুলছাত্র। দিনভর ওঝার ঝাড়ফুকে ফল না পেয়ে অবশেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয় চিকিৎসা দিতে। ডাক্তার বলছে এখনো বিপদ কাটেনি তার। এদিকে বর্ষা মরসুম শুরু হলেও সাপেকাটা রোগের প্রতিষেধক অ্যান্টিস্নেক ভেনম ইনজেকশনের দেখা মেলেনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, চাহিদাপত্র দেয়া আছে এখনো হাতে পায়নি। বাইরে থেকে চড়ামূল্যে অ্যান্টিস্কেক ভেনম ইনজেকশন কিনতে দরিদ্র পিতাকে কখনো বিক্রি করতে হয় গরু-ছাগল। আবার কখনো বাইরে থেকে চড়ামূল্যে সুদের ওপর টাকা নিতে হয় হতদরিদ্র পিতামাতাকে। যে পিতামাতার সন্তানের চিকিৎসা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ থাকেনা তাদের না দেখলে বোঝার উপায় নেই। হাসপাতালে গেলে এমন চিত্র প্রায় চোখে পড়ে। গতপরশু বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহের খেজুরা গ্রামের মণ্ডলপাড়ার আজাদ আলী মণ্ডলের ছেলে ডিঙ্গেদহ সোরাওয়ার্দী বিদ্যাপীঠের ১০ম শ্রেণির ছাত্র সজিব (১৪) তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। রাত ১২টার দিকে জানালা দিয়ে একটি বিষধর সাপ ঘরে প্রবেশ করে মশারির ওপর দিয়ে তার ডান পায়ে দংশন করে। সকালে তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মাখালডাঙ্গা স্কুলপাড়ার আবুল কাশেম নামের এক ওঝার কাছে। দিনভর ওঝার ঝাঁড়ফুকে কাজ না হলে সজিবের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হলে বিকেল ৪টার দিকে তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে অ্যান্টিস্নেক ভেনম না থাকায় বাইরে থেকে বিশ অ্যাম্পুল ইনজেকশন কিনে সজিবের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। যার মূল্য ২০ হাজার টাকা। সজিবের চিকিৎসার জন্য তার পিতাকে হাসপাতালে আহাজারি করতে দেখা গেছে।