চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ক্ষোভ

VLUU L100, M100 / Samsung L100, M100

 

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাম্মুদা খানমকে ষড়যন্ত্র মূলক বদলি না করা এবং বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিউদ্দিনকে বদলির দাবিতে গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রমেন্দ্র নাথ পোদ্দারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনার তদন্ত করেন। সাথে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাহিদ আক্তার। তদন্ত টিম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয় মাঠে একে একে অভিযোগকারী ও গ্রামবাসীর অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শোনেন।

এ সময় গ্রামবাসী জানায়, সহকারী শিক্ষক শফিউদ্দিন দীর্ঘ ১৫ বছর বিদ্যালয়ে চাকরি করার সুবাদে বিদ্যালয়টিকে নিজের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছেন। তিনি সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে আসেন না। আবার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিদ্যালয় থেকে চলে যান। আবার কোনো কোনো সময় ক্লাস না নিয়ে অন্য শিক্ষকদের নিয়ে খোশগল্পে মেতে থাকেন। সরকারি দেয়া টাকাগুলো সুষ্ঠু ব্যবহার না করে তছরুপ করে আসছিলেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন অজুহাতে ছাত্রছাত্রীদের নিকট হতে টাকা আদায় করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এ কাজে সাহস জোগায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাশেম মণ্ডল। কিন্তু প্রায় বছর খানেক আগে মাহাম্মুদা খানম প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করে বিদ্যালয়ে এসে অন্য শিক্ষকদের নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে আসা এবং অফিসে বসে গল্প না করে পাঠদান করানোর জন্য তাগিদ দিতে থাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ। গত ২৪ মে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ মিছিল সহকারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট প্রধান শিক্ষক মাহাম্মুদা খানমকে বদলি না করার জন্য আবেদন করেন। একই সাথে অভিযুক্ত শিক্ষক শফিউদ্দিনকে বদলির দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণ। এছাড়া বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি হাশেম মণ্ডলের পদত্যাগের দাবি করেন গ্রামবাসী। তদন্তের শেষ দিকে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে উঠলে অবস্থা বেগতিক দেখে সহকারী শিক্ষক অফিস কক্ষের মধ্যে ঢুকে দরজা বন্ধ করে শফিউদ্দিন নিজেকে রক্ষা করেন। এ সময় গ্রামবাসী ও ছাত্রছাত্রীরা অভিযুক্ত শক্ষিক শরিফউদ্দিনের বদলির জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তদন্ত টিমের প্রধান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার উত্তেজিত গ্রামবাসীকে শান্ত হতে বলেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। আজ থেকে কোনো শিক্ষক শিক্ষাদানে অনিয়ম করলে আইন হাতে তুলে না নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানোর জন্য তিনি বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শওকত আলী, ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান, ঠাণ্ডু, দাতা সদস্য রবিউল ইসলামসহ গ্রামবাসী।