চুয়াডাঙ্গার কুন্দিপুরে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত: দুডাকাত সদস্য গ্রেফতার : মালামাল উদ্ধার

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার কুন্দিপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার এক ঘণ্টার মাথায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক ডাকাত সদস্য গ্রেফতার এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের দু দিনের মাথায় আবারও এক ডাকাত সদস্য গ্রেফতারসহ মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ব্যবহৃত মালামাল পুলিশ উদ্ধার করতে পারলেও নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারসহ ডাকাতদলের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে হিজলগাড়ি ক্যাম্পপুলিশ।

জানাগেছে, শনিবার রাত ২টার দিকে মুখোশধারী ১৪/১৫ জন সশস্ত্র ডাকাত দল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কুন্দিপুর বেলে মাঠপাড়ার জনাব আলীর ছেলে উজির আলীর বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে নগদ ৬০ হাজার টাকাসহ মালামাল লুট করে নেয়। পরে ডাকাতদল পার্শ্ববর্তী ইদ্রিসের ছেলে জয়নালের বাড়িতে হানাদিয়ে নগদ ৭ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়।

ওই ডাকাতির ঘটনার এক ঘণ্টার মাথায় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ২টি হেঁসোসহ গ্রেফতার করে পুলিশ ইউনিয়নের নেহালপুর পশ্চিমপাড়ার আব্দুল হান্নানের ছেলে সাইদুল ইসলাম ওরফে ছুনি শিকদারকে (২৫)। তার দেয়া তথ্যমতে দুদিনের মাথায় আবারও পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বোয়ালিয়া চৌধুরীপাড়ার মোমিনের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন রমজান আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম শফিকে (৩০)। শফিকের দেয়া তথ্যমতে গতকাল দিনভর অভিযান চালিয়ে নেহালপুর পশ্চিমপাড়ার মাঠের বিভিন্ন জায়গার মাটির নিচে পুঁতেরাখা ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ৩টি হেঁসো এবং লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করতে পারলেও নগদ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করতে পারেনি। ডাকাতদলের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহতরয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ঢাকা থেকে উজির আলীর বাড়িতে তিন শিশুসহ ১০জন আত্মীয়স্বজন বেড়াতে আসে। আর এ সুযোগে ডাকাতদল তাদের বাড়িতে হানাদেয় এবং লুটপাট চালায়। উজির আলী হতদরিদ্র।তার ঘরে রয়েছে নাছিমা এবং আছিয়া নামের দু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়ে। ডাকাতদল তাদের ব্যবহৃত এমন কি পরনের পোশাকবাদে সবকিছু নিয়ে যায়। পোশাকের অভাবে বাড়ির লোকজন ঠিকমত গোসলও করতে পারেনি। অর্থাভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায়গিয়ে অভিযোগ করবে তেমন সামর্থ নেই তাদের। উজির আলীর শ্যালক জয়নাল আবেদিন বলেন, গ্রামের শেষ প্রান্তে তাদের বসবাস। ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আবার যদি কোনো অঘটন ঘটে সে ভয়ে অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছে না।