চিকিৎসাক্ষেত্রে ড. মেহেদীর একের পর এক বিস্ময়কর সাফল্য

 

বহু ঘাট ঘুরে অবশেষে সুস্থতা পেলেন মামুন 

স্টাফ রিপোর্টার: চিকিৎসা ক্ষেত্রে একের পর এক বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়ে চলেছেন চুয়াডাঙ্গার কৃতীসন্তান প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদী। তিনি আরো এক অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতর মামুন অর রশিদকে দিয়েছেন সুস্থতা। দেশ বিদেশে বহু পথ ঘুরে, অবর্ণনীয় হয়রানির পর মামুন অর রশিদ ডা. মেহেদীর চিকিৎসা পেয়ে রক্ষা পেয়েছেন পঙ্গুত্বের অভিশাপ থেকে।

কে এই মামুন অর রশিদ? কী হয়েছিলা তার? চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার বেলগাছির বাদল রশিদের ছেলে তিনি। সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছিলেন। হঠাত দুর্ঘটনায় বদলে গেল জীবনটা। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পায়ের অস্থি সন্ধিস্থল ভেঙে যায়। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রেফার করা হয় ঢাকার পঙ্গুতে। ঢাকার এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে অপারেশনও করা হয়। বিধিবাম। সুস্থতার বদলে ভাগ্যে জোটে অসহনীয় যন্ত্রণা। কারণ অস্থি সন্ধির হাড্ডি আরো গুঁড়িয়ে বিষয়িট ঘুলিয়ে ফেলেন ও চিকিৎসক। নেয়া হয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সেখানেও মেলেনি সুস্থতা। অবশেষে এপ্রিলে ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর নিকট নেয়া হয় তাকে। ২৮ বছরের মামুন অর রশিদের দশা দেখে চমকে ওঠেন তিনি। গভীর পর্যালোচনার পর জানান দু দফা অপারেশন এখন জরুরি।

চিকিৎসকসূত্র জানিয়েছেন, ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ বাবর রোর্ডের প্লাজমা মেডিক্যাল সেন্টারে টানা ৮ ঘণ্টার অপারেশন করা হয়। ডা. মেহেদী নিজেই জটিল অপারেশন করেন। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন মামুন অর রশিদ। এর চিকিৎসা বিষয়ে ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেন, সকল প্রশংসা অবশ্যই মহান সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ তায়ালার। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। ওর মতো অনেক রোগীকেই সুস্থতা দিতে পেরে বারবারই মাতা-পিতার কথা মনে হয়। তাদের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটাতে পেরে সত্যিই আমি ধন্য। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথা স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে আরো যাতে ভালো অবদান রাখতে পারি সে লক্ষ্যে এলাকাবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশী।

ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী দেশের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসকই নন, তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে একজন গবেষক। তার প্রচেষ্টায় লাখ লাখ রোগীই শুধু সুস্থতা পাচ্ছেন না, চিকিৎসা বিজ্ঞান হচ্ছে সমৃদ্ধ।