চালের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন : বেকায়দায় নিম্ন আয়ের মানুষ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাজারে ৪৬ টাকার কমে কোনো চাল নেই। সরকারি হিসেবেই গত এক মাসে সাধারণমানের মোটা চালের দাম বেড়েছে আট শতাংশের বেশি; আর এক বছরে বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ। মোটা চালের ভোক্তা প্রধাণত নিম্নআয়ের মানুষ। আর যারা সরু চাল কেনার সামর্থ্য রাখেন তাদের এখন প্রতি কেজিতে গুণতে হচ্ছে কেজিতে ৬০ টাকার বেশি। এক বছরে এ ধরনের চালের দাম বেড়েছে সরকারি হিসেবে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। প্রধান খাদ্য চালের দাম গত তিন মাস ধরে বাড়তে থাকায় কষ্টে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। চালের বাজার যেভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের মতো খাদ্য সংকট ফিরে আসার লক্ষণ দেখছেন একজন কৃষি অর্থনীতিবিদ। ২০০৭-২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার সেইসব দিনে বাংলাদেশে মোটা চালের কেজি ৪০ টাকায় উঠেছিল। সরু চালের কেজি বেড়ে হয়েছিল ৫৬ টাকা। স্বাধীনতার পর সেটাই ছিল চালের সর্বোচ্চ দর। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সম্মানীয় ফেলো এম আসাদুজ্জামান বলেন, বিশ্বজুড়ে চালের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় সে সময় দেশের বাজারে দাম বেড়েছিল হু হু করে। সারাদেশে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিলো। আর এ বছর হাওরে আগাম বন্যায় বোরো ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান ছাড়া প্রায় সব দেশেই চাল উৎপাদন কমেছে। চীনে কমেছে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ; ভিয়েতনাম ও ভারতেও কমেছে। ‘আমার মনে হয়, আবারও সেই ২০০৭-২০০৮ সালের সংকটের মুখে পড়ছি আমরা।’ শেখ হাসিনার সরকারের ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম ওঠানামা করলেও চালের বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। মোটা চালের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা আর সরু চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা। টানা কয়েক বছর বাম্পার ফলনের কারণে ওই সময় বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। মূল্যস্ফীতি নেমে আসে ৬ শতাংশের নিচে। কিন্তু কয়েক মাস ধরেই চালের বাজার অস্থির; দাম বেড়েই চলেছে। আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মিল মালিক ও আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। সরকার কিছুই করছে না। সম্পূর্ণ উদাসীন!’

বাজারের চালচিত্র: বুধবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মহাখালী, রামপুরা, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা যায় স্বর্ণা, পাইজাম, চায়না ইরির মতো ভালোমানের মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নিম্নমানের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়। মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চাল ৫৬ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে চালের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার ঢাকার বাবুবাজার-মৌলভীবাজারে চালের দাম খুচরা বাজারের চেয়ে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা কম। পাইকারদের ভাষ্য, চালের দামের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নেই। মিল থেকে কেনা দামের সঙ্গে প্রতি বস্তায় ৫৫ টাকা পরিবহন খরচ ধরে তার ওপর ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ রেখে তারা পাইকারিতে বিক্রি করেন। কুষ্টিয়ার একটি মিল মোটা চালের বস্তা ১৯৫০ টাকা (কেজিতে হয় ৩৯ টাকা) এবং মিনিকেট ২৬০০ টাকায় (কেজিতে দাঁড়ায় ৫২ টাকা) ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার কথা জানিয়েছে। ধানের দাম বাড়ার কারণে এই পরিস্থিতি বলে মিল মালিকদের ভাষ্য। মিল মালিকরা বলছেন, প্রতি মণ ধান কিনতে ১২শ টাকার বেশি লাগছে। প্রতি মণ ধানে চাল পাওয়া যায় ২৭ কেজির মতো। অবশ্য খুদ আর কুড়া থেকে উৎপাদন খরচের একটি বড় অংশ উঠে আসে। বারো মৌসুমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ২৪ এবং চাল ৩৪ টাকায় কিনছে সরকার। চালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘চালের দাম নিয়ে আমি কোনো বক্তব্য দেব না। খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজির সঙ্গে আলাপ করেন।’

পরে ডিজি বদরুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘হাওরে অকাল বন্যা এবং বোরো মৌসুমে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এবার চাহিদার চেয়ে ধানের উৎপাদন কম হয়েছে। সে কারণেই সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং দাম বেড়েছে।’
চাল আমদানির ক্ষেত্রে সবমিলিয়ে ২৮ শতাংশ শুল্ক তুলে দেয়া হলে আমদানি বাড়বে এবং তাতে দামও কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মজুদ তলানিতে: খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের (এফপিএমইউ) তথ্য অনুযায়ী ১২ জুন সরকারি গুদামগুলোতে ১ লাখ ৯৩ হাজার ১৯০ টন চাল ছিল। আর গত বছর একই দিনে মজুদের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৯৩ হাজার ২০ লাখ টন।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে এফপিএমইউ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের পাইকারি দর এখন ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। আর খুচরা দাম ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। গত ২ মে থেকে বোরো সংগ্রহ অভিযান শুরুর পর ১১ জুন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৫৩২ টন সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

সিন্ডিকেট: পুরান ঢাকার বাবুবাজারের মেসার্স শুভ শান্ত রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম বলেন, অন্যান্য বছর জ্যৈষ্ঠ মাসে বোরো ধান উঠলে চালের দাম কমে যায়। কিন্তু এবার চিত্রটা পুরো ব্যতিক্রম। নতুন চাল বাজারে আসার পরও চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। পাইকারীরা বলছেন, হাওরে ফসল নষ্টের অজুহাতে নতুন চাল আসার পরও মিল মালিকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর ধাপে ধাপে দাম বৃদ্ধির পেছনে কাজ করছে একটি চক্র (সিন্ডিকেট)। শুভ শান্ত রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. সেলিমের অভিযোগ, ‘মিল মালিকরা ধান মজুদ করে বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। ফলে বোরো মৌসুমে নতুন চাল ওঠার পরও দাম কমার পরিবর্তে বেড়েছে।’ এক সময় সনাতন পদ্ধতির চাতাল থেকে চাল উৎপাদন হলেও এখন চালের বড় অংশের সরবরাহ আসে অটো রাইস মিল থেকে। কুষ্টিয়া, শেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের অটো রাইস মিল চালু হয়েছে।
বাবুবাজারের মেসার্স চৌধুরী রাইস এজেন্সির ব্যবস্থাপক আবদুল জব্বার ভা-ারি বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প গ্রুপগুলো অটোমিল করে সারাদেশের চাল নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে সরকার চালের মূল্য স্বাভাবিক অবস্থায় নামিয়ে আনতে পারছে না।’ গত এপ্রিলে বোরো ধান ওঠার আগে থেকে মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন চাল বাজারে আসার পরও চালের দাম বেড়ে যাওয়ার এমন ঘটনা আমার ২৫ বছরের ব্যবসায়ী জীবনে শুনিনি।’ এই পাইকার বলছেন, বড় মিলগুলো বেশি পরিমাণে ধান কিনে মজুদ করায় ছোট মিল ও চাতালগুলো ধান কিনতে না পেরে ব্যবসা হারাতে বসেছে।

বাবুবাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী এমদাদ হোসেন বলেন, নতুন চাল ওঠার পর তৃতীয় দফায় মোটা চালের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি বেড়েছে। এ অবস্থায় সরকার কোনো উদ্যোগ না নিলে সংকট আরও বাড়বে। একদিকে ধানের সংকট অন্যদিকে ধানের ওপর মিল মালিকদের নিয়ন্ত্রণ এবং পুঁজিপতিদের মজুদের কারণে চালের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করছেন। ঢাকার মিরপুরে দুই যুগের বেশি সময় ধরে চলের ব্যবসায় জড়িত নিউ বিল্লাল রাইস এজেন্সির মালিক ওয়াহিদুজ্জামান জানান, গত মে মাসে ঢাকায় চালের বিক্রি ২/৩ গুণ বেড়ে গিয়েছিল। জুন মাসে চালের দাম বাড়বে এমন হুজুগে লোকজন প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল সংগ্রহ করেছে তখন। ‘যার এক বস্তা লাগবে সে তিন বস্তা কিনেছে। তখন হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে মিল মালিকরাও দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে এখন ঢাকায় চালের বিক্রি কমে গেছে। মিল মালিকরাও চালের দাম কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন। তবে পরিস্থিতি কতদিন ঠিক থাকে তা বলা মুশকিল।

মিল মালিকদের ভাষ্য: পাইকাররা একটি চক্রের দিকে আঙুল তুললেও মিল মালিকরা বলছেন, ধান সংকটের কারণেই বাজারের এই পরিস্থিতি। রশিদ অটোমিলের বিপণন বিভাগের কর্মকর্তা তারেক আনাম বলেন, মিলগেট থেকে তারা মিনিকেট চালের বস্তা (৫০ কেজি) ২ হাজার ৬০০ টাকা এবং জিরা শাইল ২ হাজার ৩৭৫ টাকায় দিচ্ছেন। বর্তমানে দেশে চালের দাম ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি।
‘হাওর অঞ্চলের ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ধানের দাম বেড়ে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। গত এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসজুড়ে কোথাও ১১০০ টাকা, আবার কোথাও ১১২০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে। ধানের দাম যে হারে বেড়েছে চালের দাম আরও বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা ক্রেতা সাধারণের কথা মাথায় রেখে এখনও এই রেইটে দিচ্ছি।’ স্বর্ণা অটো রাইস মিলের মালিক কুষ্টিয়া জেলা রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সামাদ বলেন, ‘ধানের বাজার বাড়তি। জোতদারি হবে কি করে, ১২শ টাকায়ও তো ধান পাওয়া যাচ্ছে না।’ দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে দিনাজপুর চালকল মালিক সমিতির সভাপতি সরওয়ার আশফাক লিয়ন বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে ধানের সংকট আছে। ধানের দামও অনেক বেড়ে গেছে।’ দিনাজপুরের বাজারগুলোতে ধানের ৭৫ কেজির বস্তা ১৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে দিনাজপুর প্রতিনিধি বলেন, বিগত কয়েক বছরে ধানের এত দাম পায়নি কৃষক। সে হিসাবে তারাও লাভবান হচ্ছে। গত বছর দুই মনের বস্তা বিক্রি হয়েছিল এক হাজার থেকে ১২শ টাকায়।
বাজারে ধানের সংকটের চিত্র ফুটে উঠে দিনাজপুর জেলা খাদ্য বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক (ডিসি ফুড) এসএম কায়সার আলীর বক্তব্যেও।
তিনি বলেন, জেলায় আড়াই হাজার চালকল রয়েছে। সরকারের কাছে চাল বিক্রির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মাত্র ছয়শ। এই জেলা থেকে ৮৬ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও গুদামে এসেছে মাত্র ৩০ হাজার টন।

সরকার উদাসীন: চালের বাজার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কৃষি অর্থনীতিবিদ আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারের হাতে চাল নেই, এ তথ্য মিল মালিক ও আড়তদাররা জেনে গেছেন। সে কারণে তারা একজোট হয়ে ‘সিন্ডিকেট’ করে বাজারে চাল ছাড়ছেন না। এর ফল হলো দাম বৃদ্ধি। তার অভিযোগ, চালের দাম ক্রমেই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেলেও আমদানির উদ্যোগ নেয়া ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে না। ‘আমার ধারণা, মিল মালিক ও আড়তদারদের কাছে প্রচুর চাল মজুদ আছে। দুঃখজনক হল মিল মালিক ও আড়তদারদের কাছে কী পরিমাণ চাল মজুদ আছে সে তথ্যও সরকারের কাছে নেই। মজুদ চাল ছাড়তে তাদের ওপর কোনো চাপ বা নজরদারিও নেই সরকারের।’ আসাদুজ্জামান মনে করছেন, বোরো মৌসুমে আগাম বৃষ্টি এবং হাওরে বাঁধ ভেঙে অকাল বন্যার কারণে ধান উৎপাদন কম হওয়ার পর বেশি মুনাফার লোভে মিল মালিক ও আড়তদাররা সুযোগ নিয়েছেন।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আমন ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের বাজার কমবে না বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি।

শুল্ক কমালে সমাধান? চালের বাজারে সংকট কাটাতে দ্রুত মজুদ বাড়ানোর পরামর্শ দেন আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, চাল আমদানির শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। তাহলে আমদানি খরচ কমবে, দামও কমবে। একই মত প্রকাশ করে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান বলেছেন, ট্যারিফ তুলে দিতে মে মাসের শুরুর ?দিকেই খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। সরকার বিবেচনা করে সুবিধাজনক সময়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। তিনি হিসাব করে দেখান, ভারত থেকে প্রতি টন চাল ৪১০ ডলারে কিনে দেশে আনতে পরিবহন ব্যয় মিলিয়ে খরচ দাঁড়ায় ৪৪০ ডলারের মতো। এর সঙ্গে বর্তমান হারে ট্যারিফ হিসেবে যুক্ত হয় কেজিতে ৯ টাকা করে। ‘যেহেতু বাজারে কিছু সংকট, পাশাপাশি কিছু প্যানিক রয়েছে, খাদ্য অধিদপ্তর মনে করে চাল আমদানিতে বর্তমান ট্যারিফ তুলে দিলে আর ভারত থেকে পর্যাপ্ত চাল এলে দাম আবার কমতে শুরু করবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বোরো মৌসুমের ধান এখন আর কৃষকের হাতে নেই। যাদের কাছে আছে তাদের মজুতদার কিংবা বিত্তশালী কৃষক বলা যেতে পারে। সুতরাং এখন ট্যারিফ প্রত্যাহার করলে এর প্রভাব সাধারণ কৃষকের ওপর পড়বে না বরং বাজার স্বাভাবিক হবে।