চাচার পিটুনিতে গুরুতর আহত স্কুলছাত্রী বৈশাখীর মৃত্যু

ঝিনাইদহের মথুরাপুরে দু ভাইয়ের বিরোধের বলি হলো এক ভাইয়ের মেয়ে

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: চাচার পিটুনিতে গুরুতর আহত স্কুলছাত্রী বৈশাখী খাতুন মারা গেছে। গত বুধবার তাকে তার চাচা পিটিয়ে আহত করে। প্রথমে ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে নেয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বৈশাখী। বৈশাখী খাতুন (১৪) ঝিনাইদহ পৌর এলাকার মথুরাপুর আনোয়ার জাহিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। সে ওই গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে। বৈশাখী খাতুনের বড় বোন সাবিনা খাতুন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী বলেছে, বৈশাখী খাতুনের পিতা আব্দুস সামাদ ও তার চাচা আলমগীরের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ ছিলো। এ ঘটনার জের ধরে গত বুধবার চাচা আলমগীর ও তার স্ত্রী নাসরিন, শ্যালক উজ্জ্বল হোসেন ও শাশুড়ি ছবিরন নেছা বৈশাখী খাতুনকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় আব্দুস সামাদ ও তার বড় মেয়ে সাবিনা খাতুন ঠেকাতে গেলে তাদেরও বেধড়ক পেটানো হয়। তারা সবাই ভর্তি হন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। এর মধ্যে বৈশাখী খাতুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বৈশাখী মারা যায়। এ ঘটনার পর থেকে বৈশাখীর চাচা আলমগীর হোসেন ও তার পরিবার পলাতক রয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুরে স্কুলছাত্রী বৈশাখীর ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।