চাঁদা দাবিতে ব্যাংক কর্মচারীর বাড়িতে বোমা হামলা : কৃষকের বাড়িতে চিরকুট

আলমডাঙ্গা খাসকররাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাঁদাবাজরা বেপোয়া : চলছেরবে চাঁদাবাজি

 

জামজামি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার খাসকররাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় আবারও চাঁদাবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একাধিক গ্যাং নীরবে চালাচ্ছে চাঁদাবাজি। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে বোমা মেরে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। এদিকে চাঁদার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে নওলামারী গ্রামের এক ব্যাংক কর্মচারীর বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও চিলাভালকি গ্রামের এক কৃষকের বাড়িতে চাঁদার দাবিতে চিরকুট দেয়া হয়েছে। ওই কৃষক দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে সপরিবারে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের নওলামারী গ্রামের সোবদ আলী মালিতার ছেলে মহিউদ্দীন মালিতা অগ্রণী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখার কর্মচারী। তার কাছে মাসখানেক আগে থেকে চরমপন্থি বিশ্বজিত পরিচয়ে মোবাইলফোনে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছে। দু সপ্তা আগে মহিউদ্দিনের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী খোকন বাড়ি ফিরে আসে। এরপর থেকে জোরালোভাবে চাঁদা দাবি করে আসছে তার কাছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহিউদ্দীনের বাড়িতে চাঁদাবাজরা ঢোকার চেষ্টা করে। ঢুকতে না পেরে বাড়ির ভেতরে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমাটি সিঁড়িঘরের ওপর পড়লে তা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে খাসকররা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এএসআই রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বোমার আলামত উদ্ধার করেন। তিনি জানান, মহিউদ্দীনের কাছে বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছে চাঁদাবাজরা। পুলিশকে না জানিয়ে গোপন রাখেন তিনি। ওই রাতে তার বাড়িতে একটি ককটেল ছুঁড়ে মারে সেটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

অপরদিকে নাগদাহ ইউনিয়নের চিলাভালকি গ্রামের আনছার আলীর ছেলে কৃষক আজিবর রহমানের কাছে চরমপন্থি হানিফ পরিচয়ে দু লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। গত বুধবার রাতে ১৫/১৬ জনের একদল চাঁদাবাজ আজিবরের বাড়িতে প্রবেশ করে একটি চিরকুট দিয়ে আসে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা এক সপ্তার মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে সপরিবারে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হবে। আজিবর পরিবারের লোকজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, দীর্ঘ বিরতির পর এলাকায় চাঁদাবাজদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। নীরবে চাঁদা দাবি করে এলেও সম্প্রতি মাথা চাড়া উঠেছে চাঁদাবাজচক্র। এলাকায় আইনশৃঙ্খলার উন্নতির জন্য পুলিশি টহল জোরদারের দাবি জানিয়ে পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।