চাঁদার টাকা না পেয়ে মনুষ্যশূন্য বাড়ির নির্মাণাধীন অংশ ভেঙে দিলো ভবঘুরে জাহিদুল মোল্লা

 

বাড়ি ছেড়ে ঘোলদাড়ি বাজারে বসবাস করেও রেহাই পাচ্ছেন না হোমিও ডাক্তার নূরুল ইসলাম

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বাড়ি ছেড়ে ঘোলদাড়ি বাজারে বসবাস করেও রেহাই পাচ্ছেন না হোমিও ডাক্তার নূরুল ইসলাম। চাঁদার টাকা না পেয়ে এবার মানুষ্যশূন্য বাড়ির নির্মাণাধীন অংশ রাতের আঁধারে ভেঙে দিলো ভবঘুরে জাহিদুল মোল্লা। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ছয়ঘরি গ্রামের হোমিও ডাক্তার নূরুল ইসলাম প্রায় ৫ বছর পূর্বে বাড়িঘর ফেলে সপরিবারে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে ঘোলদাড়ি বাজারে বসবাস শুরু করেন। তিনি বলেন, ছয়ঘরি গ্রামে ৩৭ বছর পূর্বে জমি কিনে পাকা বাড়িঘর নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু যাদের নিকট থেকে জমি কিনেছিলেন, তারাই শত্রুতা শুরু করেন। দফায় দফায় দাবিকৃত  চাঁদা দিতে হয়েছে। চাঁদা না দিলেই ডাকাতি করা হয়েছে, বাড়িতে বোমা মারা হয়েছে। তিনি বলেন, এই নিয়ে বার বার গ্রামে সালিস হয়েছে। সালিসে ছয়ঘরি গ্রামের আহাদ আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে জোহা ৩ বার মুচলেকা দিয়েছে। তারপরও অত্যাচার কমেনি। বাধ্য হয়ে ৫ বছর পূর্বে তিনি ঘোলদাড়ি বাজারে ৯ শতক জমি কিনে বসবাস শুরু করেন। ইতোমধ্যে জোহা বিদেশে চলে যায়। জোহা বিদেশ যাওয়ার পর এবার নতুন করে আপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে একই গ্রামের মৃত লালু মোল্লার জাহিদুল মোল্লা। সেও দফায় দফায় নূরুল ইসলাম ডাক্তারের নিকট চাঁদাদাবি করে আসছিলো। সম্প্রতি ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ডাক্তার নূরুল ইসলামের ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে রিয়াদকে অপহরণ করার হুমকি দেয়। তারপরও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২৮ মে রাতে তার জনশূন্য বাড়ির নির্মাণাধীন অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে জাহিদুল মোল্লা ছাড়াও ছয়ঘরি গ্রামের আবুল জোয়ার্দ্দারের ছেলে মোস্তফা ও একই গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে আব্দুল কাদেরও ঘর ভেঙে দেয়া ঘটনায় জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।