চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রলীগের রাজু জেলহাজতে : প্রান্ত গ্রেফতার

ছাত্রলীগ নেতার গ্যাঙগ্রুপ গঠন করে ব্যবসায়ীদের নিকিট চাঁদাদাবি : চাঁদা না পেয়ে হামলা!

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাজু আহমেদকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মুক্তিপাড়া সাতভাই পুকুরপাড়ে মিষ্টির প্যকেট তৈরি করার দোকানি রজব আলীর নিকট দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে হামলার বিষয়ে টুটুলের দায়েরকৃত মামলায় গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালত জেলহাজতে প্রেরণের অদেশ দেন। এছাড়াও রাজু আহমেদের অন্যতম সহযোগী একই চাঁদাবাজি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পুরাতন হাসপাতালপাড়ার প্রান্তকে গতকাল রোববার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে তুষারের ছেলে।

পুলিশ বলেছে, চুয়াডাঙ্গা ইমাজের্ন্সি সড়ক মুক্তিপাড়ার আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ান রয়েছে। সে ছাত্রলীগ নেতা হলেও এলাকায় সম্প্রতি গ্যঙ গঠন করেছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও দোকানির নিকট রাজুসহ তার সাথে থাকা সাঙ্গপাঙ্গরা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। পুলিশ বলেছে, দৌলাতদিয়াড়ের ফরজ আলীর ছেলে রজব আলী বর্তমানে মুক্তিপাড়ার বাসিন্দা। তিনি মুক্তিপাড়ার সাতভাই পুকুরপাড়ে দোকান দিয়ে মিষ্টির প্যাকেট তৈরি করেন। ওই রজব আলীর নিকট রাজু আহমেদসহ রাজু গ্যাঙের সেকেন্ড ইন কমান্ড মোমিন মোবাইলফোনে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে খুনের হুমকিও দেয়। রজব আলী চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মুক্তিপাড়ার মৃত মীর নেয়াজের ছেলে টুটুলকে বিষয়টি জানান। টুটুল সমবায় নিউ মার্কেটের গামেন্টস ব্যবসায়ী। গতপরশু শনিবার দুপুরে টুটুল যখন রজবের দোকানে তখন রাজুসহ তার দলবদল হাজির হয়। রজবকে মারতে গেলে টুটুল সামনে গিয়ে ঠেকায়। রাজুর ধারালো অস্ত্রে টুটুলের হাতের আঙুল কাটে। সেখান থেকেই ধরা হয় রাজুকে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গতপরশুর রাতে টুটুল বাদী হয়ে এসব বর্ণনা দিয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে রুজু করা হয়েছে। মামলায় রাজু ছাড়াও ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬ নং আসামি প্রান্তকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। সে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন হাসপাতালপাড়ার তুষারের ছেলে। গ্রেফতার সম্পর্কে জানতে গেলে গতকাল সন্ধ্যার পর তার চাচাকে থানায় বাসিয়ে রাখা হয়।

রাজু আহমেদকে গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। প্রান্তকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।