চাঁদাদাবি ॥ সাংবাদিক পরিচয়দাতা শামসুর রহমান শুভ গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গায় বসে সেলফোনে মেহেরপুর মোমিনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হুমকি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার শামসুর রহমান শুভকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোবাইলফোনে চাঁদাদাবির বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে টাকা দেয়ার ফাঁদ পেতে হাতেনাতে আটক করা হয় তাকে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রিন্সপ্লাজার নিকটস্থ একটি গলির ভেতর থেকে তাকে আটক করা হয়। তার দু সহযোগী পালিয়ে যায়। শামসুর রহমান শুভ নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয়ে দিয়ে চাঁদাদাবি করে। স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক সে। মেহেরপুর মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত শুভ চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার প্রয়াত শিক্ষক মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা সদরের পিরোজপুর ইউনিয়নের বাড়াদী মোমিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের নিকট মোবাইলফোনে টাকা দাবি করা হয়। ৬ হাজার টাকা না দিলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে বলা হয়, অভিযোগ রয়েছে, বই চালানোর কথা বলে পুথিনিলয় পাবলিকেশনের কর্মচারী সুমনের নিকট থেকে টাকা নিয়েছেন। ওই টাকার জন্য বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওবাইদুলকে আটকে রাখার খবরও প্রকাশ করে দেয়া হবে। মোবাইলফোনে এসব জেনে শহিদুল ইসলাম পুলিশসহ তার নিকটজনদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। পুলিশের এক সদস্য মোবাইলফোনে শামসুর রহমান শুভর সাথে চাঁদার টাকা নিয়ে দরকষাকষি করে। অতো টাকা নয়, কম টাকা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাতে থাকেন। এসব কথপোকথন সেলফোনে রেকর্ডও করা হয়। চাঁদার টাকা প্রদানের কথা বলে হাতেনাতে ধরার ফাঁদ পাতে পুলিশ। অপরদিকে স্থানীয়দেরও রোষানলে পড়ে শুভ। সে নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করলেও শুরু হয় পিটুনি। ঘটনাটি ঘটে গতকাল রাত ৮টার দিকে। পুলিশ সেখান থেকে তাকে আটক করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়। পরে নেয়া হয় থানায়। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় রুজু হওয়া চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তার সাথে আর কে কে জড়িত তাও জানার চেষ্টা চালায় পুলিশ। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা হামিদিয়া লাইব্রেরির কর্মচারী সুমন ও পুথিনিলয় পাবলিকেশনের কর্মচারী সুমনের সাথে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। মামলার বাদী বলেছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শুভ একের পর এক চাঁদা দাবি করতে থাকে। মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে বলে, সকলেই নাকি তার হাতে।