চবিতে সংঘর্ষে এক শিবির নেতা নিহত : আহত ৩০

স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্রলীগ ও শিবিরের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সংঘর্ষে এক শিবির নেতা নিহত হয়েছে। নিহতের নাম মামুন হোসাইন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মৃত্তিকা বিজ্ঞানের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ও শাহ আমানত হলের শিবিরের সাধারণ সম্পাদক।

জানা গেছে, আহতদের মধ্যে শিবিরকর্মী রকির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনায় অন্তত উভয় গ্রুপের আরো ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তবে শিবির কর্মীরা দাবি করছে তাদের আরো তিনকর্মী নিহত হয়েছে। এর সত্যতা এখনো পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত র‌্যাব-পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় চবি ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক জালালকে তার নিজ এলাকা সিলেটে মারধর করে দুর্বৃত্তরা হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। চবি শাখা ছাত্রলীগ ঘটনার সাথে শিবিরের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করে। ছাত্রলীগের এ মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শিবির নিয়ন্ত্রিত শাহ আমানত হলের সামনে এসে হঠাৎ হলে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৩০/৪০ রাউন্ড গুলি বিনিময় ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর দফায় দফায় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় শিবির ও ছাত্রলীগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আরো প্রায় ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এর আগে ছাত্রলীগ আমানত হলের অতিরিক্ত ব্লকের বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করে। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ শিবির নিয়ন্ত্রিত শাহ আমানত হলে তল্লাশি শুরু করে। দু ঘণ্টা তল্লাশি শেষে শিবির সন্দেহে ১৮ জন শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশ। শিবির কর্মীদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী সার্কেল এএসপি আ ফ ম নিজাম উদ্দিন। আটককৃতরা এখন হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। র‌্যাব এলে ছাত্রলীগ ও শিবিরকর্মীরা হলে ফিরে যায়। শাহ আমানত হল এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে। ছাত্রলীগ ও শিবির কর্মীরা কেউ আমানত হলে নেই।