ঘোষিত তফশিল পরিবর্তনের সুযোগ আছে সুযোগ নেই

প্রধানমন্ত্রীকে তারানকোর প্রশ্ন:- নির্বাচন পেছানো কি সম্ভব? আজ সিইসির সাথে সাক্ষাত

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি। বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করেছে জাতিসংঘ। প্রধামন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময় জাতিসংঘের এ প্রস্তাব তুলে বলা হয়, নির্বাচন পেছানো যাবে কি-না? নির্বাচন নিয়ে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের বিষয়ে কথা বলতে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সাথে বৈঠক করবেন।

গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সফররত বিশেষ দূত ও রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তারানকো প্রায় এক ঘণ্টা একান্ত বৈঠক করেন। জাতিসংঘের প্রস্তাবের সাথে সাথে নির্বাচন পেছানো যাকে কী যাবে না তা নিয়ে আইনগত দিকটিও পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। এদিকে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় দু ঘণ্টা খালেদা-তারানকো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকের কিছু সময় খালেদা-তারানকো একান্তে কথা বলেন। বৈঠকে সব বিষয়ে কথা হয়েছে এবং তারা একটা ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। তারা আবারও বৈঠকে বসবেন। কবে নাগাদ বসবেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দু-তিন দিনের মধ্যে ফের বৈঠকে বসবেন। অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। বৈঠক শেষে রাত ৯টা ২ মিনিটে তারানকো বিরোধীদলের নেত্রীর বাসভবন ত্যাগ করেন। অন্য একটি সূত্র জানায়, ৯ তারিখ সন্ধ্যা ৬টায় খালেদা-তারানকো বৈঠক আবারও অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, তারানকো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান, নির্বাচন পেছানো যায় কি-না। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞেস করতে হবে। তবে যা করতে হয়, সংবিধানের মধ্যে থেকেই করতে হবে। তিনি বলেন, সব দলকে নিয়েই নির্বাচনের চেষ্টা করতে হবে তবে সেটা সংবিধানের মধ্যে থেকেই হতে হবে। তারানকো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন। তিনি সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সাংবিধানিকভাবেই হবে। তখন তারানকো বলেন, সংবিধান রিস্টোর (পুনঃস্থাপন) করা যায় কি-না। তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আলোচনার দরকার নেই কিন্তু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা যায় কি-না তা দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান করাটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, সরকার এখানে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করছে না।

গওহর রিজভী আরও জানান, বৈঠকে তারানকো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের বিশেষ বার্তা পৌঁছে দেন। তারানকো বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতার উদাহরণ। জাতিসংঘ চায় বাংলাদেশের এ মর্যাদা যেন বজায় থাকে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী জানান, জাতিসংঘ চায়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সব ধরনের সংঘাত পরিহার করে আলোচনার উদ্যোগ নেবে। এছাড়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে তারানকো শনিবার ব্যস্ত সময় কাটান। চারদিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে তারানকো দু নেত্রীর সাথে বৈঠক করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং সরকার ও বিরোধী দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সাথেও গতকাল বৈঠক করেন তিনি। এ সময় সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি জাতিসংঘের আগ্রহের কথা জানান। তারানকো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকেই বর্তমান সঙ্কট নিরসন করতে হবে। সময় খুব কম। তাই রাজনীতিবিদদেরই এ কাজ করতে হবে। তিনি সহিংসতা বন্ধের ওপরও জোর দেন। তারানকো জানান, জাতিসংঘ চায় সবার অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এ পরিবেশের জন্য সংলাপ দরকার। সংলাপের জন্য সব ধরনের উদ্যোগের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। চলমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন বলে তিনি জানান।

আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক: তারানকোর সাথে গতকাল দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে সৈয়দ আশরাফের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, গওহর রিজভী, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত শাহেদ রাজা। বৈঠকের পর সৈয়দ আশরাফ সাংবাদিকদের জানান, তারানকোর নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সাথে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের কয়েক দফা আলোচনা হবে। এরই অংশ হিসেবে প্রথম দফা আলোচনা হলো। আগামী বৈঠকগুলোর পর আরও অনেক কিছু পরিষ্কার হবে। সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা হয়নি। আগামী বৈঠকগুলোতে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, আমরা খুবই আশ্বস্ত যে, জাতিসংঘের মহাসচিব নিজে উদ্যোগী হয়ে প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২০০৮ সালে ঢাকায় এসেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তার ওই বৈঠক খুবই সফল হয়েছিলো। সে কারণেই একটি সফল নির্বাচন হয়েছিলো। আর ওই নির্বাচনে আমরা সবাই অংশগ্রহণ করি। আমরা আশা করি এ আলোচনাও ফলপ্রসূ হবে। আমাদের একটু সময় আপনাদের দিতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। আপনারা জাতির মঙ্গল চান। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক সেটা আপনারা চান। সে ক্ষেত্রে আমাদের একটু স্পেস প্রয়োজন, উনাদেরও স্পেস প্রয়োজন। আমরা আশা করি, সহযোগিতা করবেন। যাতে করে আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারি। সব দলকে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আছেন, তাদের কথা বলছি। অনেক রাজনৈতিক দল আছে, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। যারা অংশগ্রহণ করে, তাদের সাথে আলোচনার কথা বলছি।
কূটনীতিকদের াথে বৈঠক: সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জার্মান রাষ্ট্রদূত আলব্রেখট কনজের বাসায় বৈঠকের মধ্যদিয়ে তারানকো দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন, চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা। এরপর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তিনি প্রথমে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সাথে বৈঠক করেন। তবে এসব বৈঠকের পর তারানকো সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলেননি। দুপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা হোটেল সোনারগাঁওয়ে তারানকোর সাথে বৈঠক করেন।

উল্লেখ্য, অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো শুক্রবার রাতে ঢাকায় এসেছেন। সফরকালে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের জন্য দু দলকে সংলাপে উৎসাহ জোগাতে এটা হতে পারে জাতিসংঘের শেষ উদ্যোগ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট কাটাতে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় তারানকোর এটি তৃতীয় সফর। এবার ঢাকা সফরে তারানকো পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সফর শেষে ১০ ডিসেম্বর তার ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

     এদিকে দশম জাতীয় সংসদের আংশিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেছে। জাতীয় সংসদের একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার মোট ৩০০ আসনের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৩টি আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ওই ৩৩টি আসনে সরকার দলীয় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তফশিল আর পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর কোনো বিধানেই ঘোষিত তফশিল পরিবর্তনের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। এমনকি নির্বাচন বাতিলেরও এখতিয়ার কারো নেই। ২০০৭ সালে জেনারেল ক্লজেস অব অ্যাক্ট ১৮৯৭ ব্যবহার করে ২২ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করা হয়েছিলো; কিন্তু সেটিও করা হয়েছিলো জরুরি অবস্থার সুযোগ নিয়ে। যে কারণে ওই আদেশ কোনো আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক বিচারপতি সৈয়দ আমীরুল ইসলাম বলেছেন, এখন তফশিলের কোনো ধরনের পরিবর্তন করা হলে আইনগত জটিলতা দেখা দেবে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল’র পরিচালক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইতোমধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সংসদ সদস্য হওয়ার একটি আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে নতুন করে তফসিল ঘোষিত হলে এ নির্বাচিত ব্যক্তিরা আপত্তি জানালে আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হবে।

সমঝোতার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী নেতার বাসভবন ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিকরা এ ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শ্রমিকের বেতন, সরকারের কর কিছুই দেয়া যাবে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ব্যবসা ও শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। থেমে যাবে অর্থনীতির চাকা। গতকাল ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন থেকে এসব কথা বলা হয়। ব্যবসায়ীরা নেতারা বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। সংঘাত-সহিংসতার কারণে পোশাক শিল্প ক্রেতা হারাতে বসেছে। গৌরব হারাতে বসেছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্রান্ড। ব্যবসায়ী নেতারা হুমকি দিয়ে বলেছেন, ব্যবসায়ী সমাজ রাস্তায় নেমে আসলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না। ব্যবসায়ীরা এর আগে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি। তাই সমঝোতা না হলে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় থাকবে না। দুপুর ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত বিজিএমইএ ভবনের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন কর্মসূচি পালিত হয়। দেশব্যাপি চলমান সহিংস পরিস্থিতির অবসান এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনার স্বাভাবিক পরিবেশের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমইএ। একই দাবিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর সারাদেশে শাদা পতাকা মিছিল করারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে এ মানববন্ধন থেকে।

জানা গেছে, নির্বাচন নিয়ে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের বিষয়ে কথা বলতে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সাথে বৈঠক করবেন। সকাল ১১টায় সিইসির সাথে এ বৈঠক হওয়ার কথা। ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকোর সাথে বৈঠকে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কমিশনের প্রস্তুতি, সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ নির্বাচনসংশিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, তফশিল ঘোষণার যৌক্তিকতা, বর্তমান পরিস্থিতিতে কমিশনের করণীয় বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে অবহিত করবেন সিইসি। ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, আজ বেলা ১১টায় তিনি নির্বাচন কমিশনে আসবেন। তারানকো জাতিসংঘের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে গত ১২ মে সিইসির সাথে বৈঠক করেন তারানকো।