গ্রেফতারি পরওনাভুক্ত আসামি নিশ্চিন্তপুরের হাফিজুরকে গ্রেফতার করেও ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে দারোগা ক্লোজড

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি/জীবননগর ব্যুরো: গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার করেও তাকে ছেড়ে দেয়ায় অভিযুক্ত এসআই আবুল কালামকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে আসামিকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত শেখ মিজানুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান গ্রেফতারি পরওনাভুক্ত আসামি। তাকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারি পরোয়ানা বলে গ্রেফতার করা হয়। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে গ্রেফতারকৃত আসামিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত দারোগাকে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়।

অভিযোগ জানা গেছে, হাফিজুর রহমানের ১ম স্ত্রী দু সন্তানের জননী শারমিন আক্তার রনি যশোর আমলী আদালতে বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন। আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার আদেশ দেন আদালত। এ গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে পেয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রকিব খানের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এসআই আবুল কালাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করেন।

সুত্র জানায়, গ্রেফতারের পর দীর্ঘক্ষণ দরকষাকষির পর মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ছেড়ে দেন। এ অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ নির্দেশে অভিযুক্ত এসআই আবুল কালামকে জীবননগর থানা থেকে রাতেই পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সুত্র আরো জানায়, ছাড়া পেয়ে নানা আভিযোগে অভিযুক্ত প্রতারক হাফিজুর রহমান ফের আত্মগোপন করেছে। পুলিশ পলাতক হাফিজুরকে খুঁজছে।

উল্লেখ্য ২০০৭ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর নানা অভিযোগ পেয়ে তৎকালীন পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিনের নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গোয়ালন্দঘাট থেকে আটক করে কয়েকটি মামলাসহ আদালতে সোপর্দ করে।