গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ইবিতে ক্লাস পরীক্ষা শুরু

 

ইবি প্রতিনিধি: গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিলো স্বাভাবিক। এর আগে ২০ মে বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সাথে এক বৈঠক শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল ঘোষণা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল ও রমজান মাসে ক্লাস পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির নেয়া সিদ্ধান্তের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২ জুন থেকে ১৩ জুন পবিত্র শবেবরাত ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ছিলো স্বাভাবিক। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল ঘোষণা শেষে ক্লাস পরীক্ষা শুরু হবার প্রথম দিন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার, রেজিস্ট্রার ড. মসলেম উদ্দিনসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। তারা তাদের স্বাভাবিক দাপ্তরিক কাজকর্ম করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র শাকিল আহমেদ ও খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রশংসার দাবিদার। আশা করি বিভাগীয় শিক্ষকরা আসন্ন রমজানেও ক্লাস পরীক্ষা নেবেন। এটা হলে বিগত সময়ে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে আমাদের যে একাডেমিক ক্ষতি হয়েছে তার কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়া যাবে।’ উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করায় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি কিছুটা হলেও কমবে। এছাড়া বিভাগীয় শিক্ষকদের এখতিয়ার দেয়া হয়েছে, তারা চাইলে রমজান মাসেও নিজ নিজ বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা নিতে পারবেন।’

প্রসঙ্গত, বাসচাপায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র নিহতের জের ধরে গত বছরের ৩০ নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় সাড়ে চার মাস বন্ধ ছিলো। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিলো, আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল ও রমজানে ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে যেন এ ক্ষতি কিছুটা কমিয়ে আনা হয়। অবশেষে শিক্ষার্থীদের সে দাবি পূরণ হলো।