স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ডাকাতরা পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট চালায়। জেলা শহরের গুলশানপাড়ায় সাংবাদিক কামাল উদ্দিন জোয়ার্দ্দারের বাড়িতে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন জোয়ার্দ্দার জানান, ‘একদল সশস্ত্র ডাকাত জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢোকে। তারা মাথার ওপর ধারালো অস্ত্র ধরে আলমারি ভেঙে ৫ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও একটি ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে সটকে পড়ে।’ এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক জানান, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের গুলশানপাড়ার মৃত সানোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে আরিফুল ইসলাম স্ত্রীসহ নিচতলার একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে ঘরের মধ্যে শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে দেখতে পান একদল ডাকাতকে। তাদের হাতে থাকা শাবল দিয়ে আরিফুলকে আঘাত করে। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদেরকে চিৎকার করতে নিষেধ করে তারা। পরে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। এসময় তাদের চিৎকার শুনে দোতলায় থাকা আরিফুলের বড় ভাই দৈনিক ইনকিলাবের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি কামাল উদ্দীন জোয়ার্দ্দার নিচে নেমে আসেন। এসময় ঘরের আলমারির জিনিসপত্র পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেয়া হয় পুলিশে।
এ বিষয়ে গতকাল বুধবার রাতে সাংবাদিক কামাল উদ্দীন জোয়ার্দ্দার বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। চারটি চুড়ি, একটি কণ্ঠহার, সীতাহার, বিছেহার এবং আংটি ও কানেরদুলসহ ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুটের বিষয়টি এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নগদ ৫ হাজার টাকা একটি ডিজিটাল ক্যামেরাসহ প্রায় ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার মালামাল খোয়া গেছে বলেও এজাহারে উল্ল্যেখ করা হয়। এঘটনায় জড়িত এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগের দিন গত সোমবার রাতে গুলশানপাড়ার মাহাবুব প্রফেসারের বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। এর আগেও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাংলোসহ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।