গাজীপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে খোয়া যাওয়া অস্ত্র ব্যারাকের পুকুর থেকে উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খোয়া যাওয়া অস্ত্রটি অবশেষে তিনদিন পর উদ্ধার হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে কারাগারের ব্যারাক সংলগ্ন মজা পুকুর থেকে অস্ত্রটি (রাইফেল) উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আরিফুল ইসলাম (৩০) নামে এক কারারক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান ও কারা কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) বজলুর রশিদ জানান, গতকাল বুধবার সকাল ১০টা ২৬ মিনিটের দিকে হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার জান্নাত-উল-ফরহাদের মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসে। ওই ম্যাসেজে লেখা ছিলো অস্ত্রটি কারাগারের মজা পুকুরে আছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে পুকুরটিতে ৩০ কারারক্ষী নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সে মোতাবেক ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে আল-আমিন নামে এক কারারক্ষী রাইফেলটির সন্ধান পান।

তারা আরো জানান, রাইফেল উদ্ধারের পর তদন্ত দল মোবাইলে ম্যাসেজ প্রেরণকারীর তথ্য অনুসন্ধান শুরু করে। বিভিন্ন কৌশল ও প্রযুক্তি অবলম্বন করে জানতে পারেন, ম্যাসেজটি মৌলভীবাজার জেলা শহর থেকে বাংলালিংক কোম্পানির একটি নম্বর থেকে পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য পেয়ে তদন্ত দল নিশ্চিত হয় রাইফেল গায়েবের সাথে হাইসিকিউরিটি কারাগারে কর্মরত মৌলভীবাজার জেলার কারারক্ষীদের কেউ জড়িত। পরে অস্ত্র হারানোর দিন সেলামিতে অংশ নেয়া ২১ কারারক্ষীর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলার সকল কারারক্ষীকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে কারারক্ষী মো. আরিফুল ইসলাম স্বীকার করেন, অস্ত্রটি পুকুরে আছে এ তথ্যটি ম্যাসেজ করার জন্যে তিনি তার এক আত্মীয়কে বলেছিলেন। তদন্ত কমিটিকে আরিফ জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অস্ত্র নিয়ে তিনি পুকুর পাড়ে প্রস্রাব করতে গেলে অসাবধানতাবশত অস্ত্রটি পুকুরে পড়ে গিয়েছিলো। ভয়ে তিনি ঘটনাটি কর্তৃপক্ষকে বলেননি।

অস্ত্র উদ্ধারের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামাল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান কারাগারে যান। এ সময় কারারক্ষী অভিযুক্ত আরিফ তাদের সাথে একই তথ্য জানান।