স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরে এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তার নাম খন্দকার এনামুল হক বিপ্লব (৪২)। তিনি গাজীপুর আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী। তার পিতা মৃত খন্দকার সামসুদ্দিন। গতকাল শনিবার গাজীপুর শহরের উত্তর ছায়াবিথী এলাকায় নিজ বাড়ির কাছে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নিহত বিপ্লব গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামানের সাথে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খন্দকার এনামুল হক বিপ্লব শনিবার সন্ধ্যায় তার বাসার সামনে এসে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা স্থানীয় সন্ত্রাসী রাব্বী ও রবিন তাকে ঘিরে ধরে। একপর্যায়ে তারা বিপ্লবকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার করেন। রাতে উত্তরার আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হলে তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। সেখান থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পথে বিপ্লব মারা যান।
নিহত বিপ্লবের ছোট ভাই সুপ্রিমকোর্টের সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট খন্দকার আমিনুল হক টুটুল জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে উত্তরার আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পথে বিপ্লব মারা যান। কেন তার ওপর হামলা করা হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
বিপ্লবের মা রেহানা আক্তার জানান, গাজীপুর জজকোর্টের সেরেস্তাদার মাসুদুর রহমানের দু ছেলে সন্ত্রাসী রাব্বী ও রবিন তার ছেলে বিপ্লবকে বিনা অপরাধে খুন করেছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করেন। ৯ দিন আগে বিপ্লবের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জয়দেবপুর থানার এসআই আবদুল হামিদ জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।