গাছচোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা বেপরোয়া : রাতের আঁধারে লোপাট হচ্ছে গাছ আলুকদিয়া-ভালাইপুর ও চুয়াডাঙ্গা-বোয়ালমারী সড়কের গাছ চুরি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের আলুকদিয়া-ভালাইপুর রাস্তার গাছ রাতের আঁধারে চুরি হয়ে যাচ্ছে। এলাকার চিহ্নিত একটি গাছচোর চক্র প্রতিনিয়ত গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আলমডাঙ্গার গোকুলখালী ক্যাম্প পুলিশের নিকটবর্তী এলাকা থেকে দিনের পর দিন গাছ কাটা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দিনের বেলায় চিহ্নিত ওই চক্রটি প্রকাশ্যে গাছের চ্যালাকাঠ বিক্রি করছে। এলাকাবাসী বিষয়টি জানলেও চোরচক্রের ভয়ে কিছু বলতে পারে না।

সূত্র জানায়, গত ১ মাস ধরে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর প্রধান সড়কের আলুকদিয়া-ভালাইপুর এলাকায় রয়েছে অসংখ্য চটকা, রেন্টি গাছ লাগানো হয় ১০/১২ বছর আগে। সম্প্রতি এলাকার চিহ্নিত একটি চোরচক্র রাতের আঁধারে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি রাতেই কোনো না কোনো গাছ রাস্তা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, রাতের বেলায় চোরচক্র গাছের গোড়ার মাটি খুঁড়ে গাছটি কাটার উপযোগী করে রাখে। পরদিন গাছটি কেটে সেখানে মাটি ভরাট করে রেখে যায়, যাতে গাছ কাটার স্থানটি কেউ শনাক্ত করতে না পারে। প্রতি রাতেই গাছ চুরির ঘটনা ঘটায় এলাকাবাসী অভিযোগ করে পত্রিকা অফিসে। এলাকার অনেকেই অভিযোগ করে জানায়, আলুকদিয়া গ্রামের মুঞ্জুরার ছেলে মাসুম, মৃত আত্তাপের ছেলে বাবলু, ফন্টুর ছেলে বেল্টু ওরফে খুনা ও একই গ্রামের বিদ্যুত, ভালাইপুরের মৃত জামাত আলীর ছেলে রফিকুল, নেওয়াজ আলীর ছেলে আমিনুল ও একই গ্রামের নওশাদ এ গাছ সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। এদের কেউ কেউ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। গাছচোর সিন্ডিকেটের কেউ কেউ গাছের চ্যালাকাঠ আলুকদিয়া, ভালাইপুর ও গোকুলখালী বাজারে বিক্রি করে প্রকাশ্যেই। এ চোরচক্রের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই আলুকদিয়া-ভালাইপুর এলাকা থেকে সড়কের সব গাছ লোপাট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে গোকুলখালী ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ হাবিব গতরাতে দৈনিক মাথাভাঙ্গার সাথে কথা বলার সময় রাস্তা থেকে গাছ চুরি হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে গাছচোর ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিগগিরই এদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কেও একই কায়দায় হাজার হাজার টাকার গাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। দিনের বেলায় দেখা গেলেও অনেক গাছই রাতের বেলায় উধাও হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গার ঘোড়ামারা ব্রিজের কাছ থেকে বোয়ালমারী গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার দু ধারের গাছগুলো চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এসব গাছ রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যাবে। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে সচেতন মহল মনে করে।