গাংনী পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ ৫ হাজার গ্রাহক

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। লাইনের উন্নয়নের নামে সকাল-সন্ধ্যা বিদ্যুত বন্ধ রাখায় সাহারবাটি এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহক ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। মাত্র পাঁচদিন কাজের কথা বলে গত ১৫ দিন সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা একটানা বিদ্যুত বন্ধ রাখা হচ্ছে। আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যুত বন্ধ রাখা হবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ফলে বিভিন্ন কল কারখানার উৎপাদন ব্যাহত ছাড়াও কৃষি কর্মকা-ের ব্যাঘাত ঘটছে।
পল্লী বিদ্যুত সমিতি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে আঁতাত করে গ্রাহকদের ভোগান্তি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, সাহারবাটি এলাকা পরিচালকের কারণেই তারা অনুরোধের ঢেকি গিলেছেন।
জানা গেছে, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির গাংনী জোনাল অফিস অন্তর্গত গাংনী উপকেন্দ্রের (সাবস্টেশন) ৫ নম্বর ফিডারে সাহারবাটি, ভাটপাড়া, নওপাড়া, নবীনপুর, ধলা, ভিটাপাড়ার লাইনটি থ্রি ফেইজ উন্নীত করা হচ্ছে। মাত্র তিন দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে অদ্যাবধি কাজ চলছে যা আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এ লক্ষ্যে প্রতিদিন সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৫ নং ফিডার বন্ধ রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে সন্ধ্যায় লাইন চালু হলেও লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৮ ঘণ্টা বিদ্যুত পাচ্ছেন ওই এলাকার গ্রাহকরা। নিয়মানুযায়ী কাজ শুরুর পূর্বে এলাকায় মাইকিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। বিনা নোটিশেই দিনেরর পর দিন বিদ্যুত বন্ধ রাখা হচ্ছে।
সাহারবাটি বাজারের ওয়ের্ল্ডিং কারখানার মালিক বিষু কর্মকার জানান, গত ১৫ দিনে কোনো কাজই করতে পারেননি তিনি। কারখানায় কোনো কাজ না থাকলেও শ্রমিকদেরকে পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে। সাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষিরা বলেন, সেচের অভাবে সবজি আবাদ ব্যাহত হয়েছে। কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় চাষিরা কিছুটা সুবিধা পেয়েছেন। এভাবে বিদ্যুত বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ছেদ পড়েছে।
বিদ্যুত উন্নয়ন কাজের ঠিকাদার মোজাম্মেল হক বলেন, তিনি মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জিএম, গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএম, এজিএম (কম) এবং ৫ নম্বর ফিডারের পরিচালকের সাথে কথা বলে এবং সময় নিয়েই কাজ করছেন।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতিরি গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএম ফখর উদ্দীন জানান, কাজ শুরুর ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। একাধারে সার্টডাউন (বিদ্যুত বিচ্ছিন্নকরণ) দিতে পারেন কি-না? এ প্রশ্নের জবাব মেলেনি। এদিকে ঠিকাদারের দাবিকে অস্বীকার করেছেন পরিচালক হাফিজুর রহমান।