গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের তালা

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ। বিএনপি নেতাকর্মীদের সভায় সরকার ও দেশ বিরোধী বক্তব্যের অভিযোগ তুলে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তালা দেয়া হয়।

গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ আলী গাংনী পৌর বিএনপির সভাপতি। গতকাল দুপুরে তার গাংনী বন বিভাগ পাড়ার বাসভবন প্রাঙ্গণে পৌর বিএনপির পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, গাংনী পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবীব, জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান সিপু ও আলাল উদ্দীন রিন্টুসহ  ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে। কিছু সময় ধরে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদে অবস্থিত চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

উপজেলা পরিষদ সিএ সঞ্চিতা ইসলাম বলেন, আমরা দুপুরে খাওয়ার জন্য বের হচ্ছিলাম। এসময় কতিপয় বিক্ষুব্ধ যুবক এসে আমাদেরকে অফিস থেকে বের করে প্রধান দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চলে যায়।

গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান প্রধান। অথচ তিনি নিজ বাড়িতে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। তিনি সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে সরে না আসেন তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ আলী বলেন, তিনি উপজেলা বিএনপির পরিচিতি সভা ডেকেছিলেন। ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কার্য নির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বছর খানেক আগে কমিটি গঠিত হলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন কারণে পরিচিতি সভা হয়নি। সভায় পুলিশ ও ডিসএবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সরকার কিংবা দেশ বিরোধী কোনো বক্তব্য দেয়ার প্রশ্নই আসে না। তালার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেখছেন বলেও জানান তিনি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান বলেন, বিক্ষুদ্ধ কিছু যুবক তালা দিয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত তালা খোলার প্রক্রিয়া চলছে। তবে তালা ঝোলানোর পরিস্থিতি ভিন্ন দৃষ্টিতেই দেখছেন খোদ বিএনপি নেতারা।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, মোরাদ আলী আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। সভাও ডেকেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন আর বিএনপির দায়িত্ব পালন কিন্তু এক বিষয় নয়। আতাত করে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা যায়, কিন্তু বিএনপি করা যায় না।