গাংনীর হোগলবাড়িয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ : স্বামীপক্ষের দাবি আত্মহত্যা

 

গাংনী প্রতিনিধি: সাগরিকা খাতুন (২১) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্বামীর পরিবারের দাবি বিষয়টি আত্মহত্যা। তবে হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা তার পরিষ্কার হতেই গতকাল সোমবার লাশের ময়নাতদন্ত করিয়েছে পুলিশ। নিহত সাগরিকা খাতুন মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর সেন্টু মিয়ার স্ত্রী এবং গাংনী পৌরসভাধীন পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের কুতুব উদ্দীনের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে রোববার সন্ধ্যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা বাধে। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে মারধর করে সেন্টু বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাগরিকা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার হয়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তবে স্বামীপক্ষ আত্মহত্যার বিষয়টি জোর দিলেও হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ তোলেন নিহতের পিতার পরিবার। অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল পিতার গ্রামেই তার দাফন সম্পন্ন হয়। নিহতের ৫ বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

নিহতের পিতার পরিবারের অভিযোগ, নয় বছর আগে তাদের বিয়ে হলেও সংসারে কপালে সুখ জোটেনি। স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলো। এর জেরেই তাকে পিটিয়ে স্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে নিহতের পিতার পরিবার হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তোলার পর থেকেই আত্মগোপন করেছে সেন্টুসহ তার পরিবারের লোকজন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত স্বামী সেন্টুর দাবি, তাকে হত্যা করা হয়নি। রাগের বসে তাকে সামান্য মারধর করা হলেও তাকে হত্যা করা হয়নি। শ্বশুরপক্ষের অভিযোগের কারণে তিনি গাঢাকা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পেলে মামলা দায়ের হবে। তবে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত চলছে।