গাংনীর মহিষাখোলা গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে বোমা রাখার অভিযোগ

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের আব্দুল লতিফ নামের এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে চারটি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে গাংনী থানা পুলিশ বোমাগুলো উদ্ধার করে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আব্দুল লতিফকে ফাঁসাতে আদম আলী নামের এক ব্যক্তি বোমাগুলো ফেলে আসে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশসূত্রে জানা গেছে, আব্দুল লতিফের বাড়িতে বোমা রয়েছে এমন তথ্য গতকাল সকাল থেকেই পুলিশের কাছে আসতে থাকে। অজ্ঞাত জনৈক এক ব্যক্তি ওই তথ্য দিয়ে বোমাগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি লতিফের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। বিষয়টি সন্দেহজনক হিসেবে গ্রহণ করেই গাংনী থানার এসআই মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থলে যান। আব্দুল লতিফের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি টয়লেটের মধ্য থেকে পরিত্যক্ত হিসেবে চারটি বোমা উদ্ধার করেন। মাঝারি আকারের জর্দ্দার কৌটায় ওই বোমাগুলোর মধ্যে তিনটি লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো এবং অপরটি কাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো।

বোমা উদ্ধারের পর বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল লতিফ ও তার প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য মেলে বোমা রাখার বিষয়টি সাজানো ঘটনা। ধানখোলা গ্রামের আদম আলী নামের এক ব্যক্তির সাথে আব্দুল লতিফসহ মহিষাখোলা গ্রামের লোকজনের বিরোধ বাধে। একটি বিয়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলও হয়। কয়েকদিন ধরে আদম আলী হুমকি দেয় লতিফকে দেখে নেয়ার। এর জের ধরে আদম আলী বোমা রাখে বলে অভিযোগ করেন আব্দুল লতিফ। তবে পুলিশও বিষয়টির সাথে একমত পোষণ করে আদম আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় আদম আলীর বিরুদ্ধে মহিষাখোলা গ্রামের মানুষের মাঝে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।