গাংনীর বিভিন্নস্থানে শিয়ালের কামড়ে আহত ৫

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পৃথক তিনটি স্থানে শিয়ালের কামড়ে ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- জেলার গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের এনায়েত আলীর স্ত্রী হাজেরা খাতুন ও তার ছেলে আব্দুল মালেক, একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা খাতুন, সাহারবাটি গ্রামের আশরাফ আলীর স্ত্রী হামেদা খাতুন এবং রংমহল গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম। তাদেরকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান- ভোরের দিকে গাড়াডোব গ্রামের হাজেরা খাতুনের বাড়ির মেন গেট দিয়ে একটি শেয়াল বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তিনি একটি লাঠি দিয়ে শেয়ালটিকে তাড়াতে যান। এ সময় তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শেয়ালটি। তাকে বাঁচাতে তার ছেলে আব্দুল মালেক এগিয়ে আসলে তার ওপর আক্রমণ করে শেয়ালটি। এতে তারা দুজন আহত হন। ভোর বেলায় একই গ্রামের রোজিনা খাতুনের বাড়িতে একটি শেয়াল প্রবেশ করে মুরগি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় লাঠি দিয়ে তাড়াতে গেলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়। সকালে সাহারবাটি গ্রামের রাস্তায় দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন হামিদা খাতুন। ওই সময় একটি শেয়াল তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হামিদার শরীরের বিভন্নস্থানে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়।

অপরদিকে রংমহল গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের বাড়ি থেকে একটি হাঁস নিয়ে পালাবার সময় শেয়ালটিকে তাড়া করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত শেয়ালটি তার হাত ও পায়ে কামড়ে দেয়। স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক ডা. এহসানুল কবীর জানান, তারা সবাই আশঙ্কা মুক্ত। তবে শেয়ালের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। তাই রোগীদের জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাক্সিন দেয়া হয়েছে।