গাংনীর বামন্দী-হাটবোয়ালিয়া সড়কে আবারও ছিনতাই : ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বামন্দী-হাটবোয়ালিয়া সড়কে আবারো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে সিঁন্দুরকৌটা-শিমুলতলা মাঠের মধ্যে তিন মাছব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে কয়েকজন ছিনতাইকারী। ঈদের আগে পর পর দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গোটা এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে জানান কয়েকজন ব্যবসায়ী। অবশ্য গতরাতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সন্দেহভাজন এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, গতকাল সিঁন্দুরকৌটা গ্রামের হাট থেকে মাছ বিক্রি করে বাইসাইকেলযোগে সহড়াবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন মাছব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন, হৃদয় মিয়া ও আব্দুল মজিদ। সিঁন্দুরকৌটা-শিমুলতলা গ্রামের মাঠের মধ্যে পৌঁছুলে ৫/৭ জন সশস্ত্র ছিনতাইকারী তাদেরকে গতিরোধ করে। এ সময় তিনজনের কাছ থেকে সাড়ে প্রায় ১২ হাজার টাকা ছিনয়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ছাতিয়ান গ্রামের মক্তবের কাছ থেকে ছাতিয়ান গ্রামের সাহারুল ইসলাম (২০) নামের একজনকে আটক করে কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল।

কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই সুফল কুমার জানান, ওই সড়কে কয়েকবার টহল দেয়ার পর মক্তবের কাছ থেকে সাহারুলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সে খালি গায়ে ছিলো এবং তার পায়ের স্যান্ডেল জুড়া হাতে ছিলো। শরীরের বিভিন্ন স্থানে পাট কিংবা অন্য কিচুর আচড় পাওয়া যায়। কোন জায়গা থেকে আসছে এবং গন্তব্য সম্পর্কে সঠিক জবাব দিতে না পারায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়। ওই ছিনতাইয়ের সাথে সে জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে তার সম্পর্কে তদন্ত করা হচ্ছে।

এদিকে একই সড়কে বার বার ছিনতাইয়ের ঘটনায় এলাকার গরু ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মাঝে ছিনতাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ২২ জুন ওই সড়কের আমতৈল-ভোলাডাঙ্গা মাঠের মধ্যে আলডাঙ্গা থেকে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফেরা কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাদিয়াপাড়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী বাবলু গুরুতর জখম ও আরো তিন ব্যবসায়ী আহত হন। বাবুল বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী লালান ওরফে লালনসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সন্দেহভাজন ছিনতাইকারী হিসেবে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলেও ছিনতাইয়ের বিষয়ে আসামিদের কোনো জবানবন্দি মেলেনি।

আর কয়েকদিন পরেই ঈদুল ফিতর। এর কিছুদিন পরেই ঈদুল আজহা। ওই সড়ক দিয়ে বামন্দী ও আলমডাঙ্গা পশুহাটে যাতায়াত করেন এলাকার গরু ব্যবসায়ীরা। তাই সড়কে পর্যান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থার অভাবে গরু ও টাকা নিয়ে যাতায়াতে শঙ্কিত গরু ব্যবসায়ীরা। মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গাসহ বিভন্ন জেলার গরু ব্যবসায়ীরা যাতায়ত করেন। তাই তাদের পর্যান্ত নিরাপত্তা ও ছিনতাই-ডাকাতি বন্ধ না হলেও এলাকার দুটি বড় পশুহাট মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করছে এলাকাবাসী।