গাংনীর নিশিপুরে দ্রুতগতির আলগামন উল্টে এক দিনমজুর নিহত : আহত ৪

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বামন্দী-কাজিপুর সড়কে দ্রুত গতির একটি আলগামন উল্টে সামসুল হক (৪৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সামসুলের সঙ্গীয় আরো চার শ্রমিক। গতকাল শনিবার তার আটটার দিকে নিশিপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘঠে। নিহত সামসুল হক হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে।

স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা গেছে, হাড়াভাঙ্গা গ্রামের কয়েকজন দিনমজুর কৃষি শ্রমিক তেরাইল গ্রাম থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তাদের বহনকৃত আলমাগনের চালক একই গ্রামের তমেজ উদ্দীনের ছেলে জালাল উদ্দীন একই ধানকাটা দলের সদস্য। রাতে ফাঁকা সড়কে দ্রুত গতিতে আলগামন চালাচ্ছিলেন জালাল। নিশিপুর-বালিয়াঘাট গ্রামের মাঝামাঝি পৌঁছুলে আলগামনের ব্রেক অকেজো হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে। আলগামনটি উল্টে রাস্তার উপরে ছিটকে পড়ে কয়েকজন শ্রমিক রক্তাত্ব জখম হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে বামন্দী বাজারের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক সামসুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্রমিক হাড়াভাঙ্গা গ্রামের রিকাত আলী (৪৫), রফাত আলী (৪৮), তমেজ উদ্দীন (৪০) ও ছমির উদ্দীনকে (৩২) ওই ক্লিনিকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে রফাত আলীর অবস্থা গুরুতর।

এদিকে নিহতের মরদেহ বাড়িতে নেয়া হয়েছে। দিনমজুর পরিবারে বইছে শোকের মাতম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিকে হারিয়ে স্ত্রী ও দু ছেলেমেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। এদিকে গতকাল রাতে গ্রামে সালিসসভা চলছিলো। দুর্ঘটনার জন্য আলগামনচালক জালাল উদ্দীনকে দায়ী করছেন আহতরা। তাই গ্রামের লোকজন সামসুলের পরিবারের জন্য জালাল উদ্দীনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। গতরাতে এ খবর লেখার সময় পর্যন্ত সালিস চলছিলো।

গাংনী থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনে পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে তাদেরকে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে বলা হয়েছে।