গাংনীর নওদাপাড়ায় গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা : স্বামীর নামে মামলা

গাংনী প্রতিনিধি: তহমিনা খাতুন (৩৮) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে মাথাভাঙ্গা নদীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তেকালা জাকারিয়া ঘাট থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তহমিনা খাতুন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। স্বামী ও তার প্রথম স্ত্রী তহমিনাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তহমিনার পরিবারের সদস্যরা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নওদাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের সাথে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নবিজপুর গ্রামে তহমিনা খাতুনের বিয়ে হয়। দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে এটি। বিয়ের পর থেকেই আলতাফ হোসেন প্রথম স্ত্রীকে বেশি গুরুত্ব দিতেন। সংসার চালাতে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন তহমিনা।

কলহের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আলতাফ হোসেন ও তার প্রথম স্ত্রী তহমিনাকে পিটিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। লাশ ফেলে রাখে গ্রামের পার্শ্ববর্তী তেকালা জাকারিয়া ঘাট এলাকায়। তেকালা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই রাসেল জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধারের সময় তহমিনার গলায় দড়ি পেচানো ও পেছন থেকে দু হাত বাঁধা ছিলো। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গতকালই লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। তবে গতকাল ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি।

দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে জানিয়েছেন, গতকালই নিহতের প্রথম পক্ষের মেয়ে বিনায়ারা খাতুন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যামামলা দায়ের করেছেন। আলতাফ হোসেনকে প্রধান আসামি করে আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে গতরাত সাড়ে বারটার দিকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।