গাংনীর ধানখোলায় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ :স্বামী-শাশুড়ি আটক

 

গাংনী প্রতিনিধি: স্ত্রীর গোপনাঙ্গের পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে আমানুল ইসলাম ওরফে আমানুল নামের এক পাষণ্ড স্বামী। মুমূর্ষু অবস্থায় স্ত্রী বানিয়ারা খাতুনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আমানুল ও তার মাকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধানখোলা গ্রামের উত্তরপাড়ার আমানুল ইসলামের সাথে বেশ কয়েক বছর আগে এ উপজেলার জালশুকা গ্রামের গঞ্জের আলীর মেয়ে বানিয়ারা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে বিভিন্ন দাবিতে মারপিট করতো আমানুল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে আমানুল স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। কয়েকটি কোপ লাগে স্ত্রীর গোপনাঙ্গের কাছে। তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বানিয়ারা খাতুনের গোপনাঙ্গের পাশে ধারালো অস্ত্রের মারাত্মক আঘাত রয়েছে। ২২টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তবে রক্ত বন্ধ হয়নি। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতকাল বিকেলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপতালে রেফার করা হয়েছে। এ ঘটনাটি অমানবিক ও পাষণ্ড বলে আখ্যায়িত করলেন খোদ চিকিৎসকরা।

এদিকে স্থানীয়ভাবেও আমানুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী স্ত্রীর পরিবার। তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে আমানুল ও তার মাকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। গাংনী থানার এসআই ইকরাম হোসেন জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটক মা ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে আমানুল দাবি করেছে পরিকল্পিতভাবে নয় রাশের বশবতি হয়ে কোপ দেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।