গাংনীর ধলা গ্রামের দশম শ্রেণির সেই ছাত্র মুক্তিপণে মুক্ত?

 

 

গাংনী প্রতিনিধি: অপহরণের ১১ দিন পর উদ্ধার হয়েছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামের স্কুলছাত্র ইলিয়াছ হোসেন (১৪)। গতকাল বুধবার দুপুরে খাসমহল সীমান্ত এলাকা থেকে কৌশলে অপহরকদের কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে মুক্তিপণ পরিশোধ করেই তাকে মুক্ত করা হয়েছে বলে এলাকার জোরগুঞ্জন চলছে।

গত ৯ আগস্ট মধ্যরাতে নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হয় ধলা গ্রামের বাবর আলীর ছেলে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ইলিয়াছ হোসেন। গতকাল তাকে উদ্ধার করেন ধলা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই সাইদুর রহমান। তিনি জানান, অপহরকচক্রের সদস্যরা ইলিয়াছের পিতার কাছে মুক্তপণ দাবি করে। পুলিশের দেয়া কৌশল মতোই বাবর আলী এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হন। গতকাল দুপুরে খাসমহল সীমান্ত অপহরকচক্রের দুজন সদস্য ইলিয়াছকে নিয়ে আসে। এসময় কৌশলে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পালিয়ে যায় অপহরকচক্রের সদস্যরা। ছেলেকে ফিরে পেয়ে ইলিয়াছের পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।

ইলিয়াছের পিতা বাবর আলী জানান, মুক্তিপণ দাবি করলে তিনি বিষয়টি ধলা পুলিশ ক্যাম্পে অবহিত করেন। মুক্তিপণ নিতে তারা ইলিয়াছকে নিয়ে সীমান্তে আসলে পুলিশ কৌশলে তাকে উদ্ধার করেন। তবে কোনো প্রকার মুক্তিপণ দিতে হয়নি বলে জানান তিনি।

এদিকে এলাকার একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়াছকে নিয়ে খাসমহলের গ্রামের ওপারে ভারতের ধাড়া এলাকায় নিয়ে যায় অপহরকচক্রের সদস্যরা। শেষমেশ দু লাখ টাকা মুক্তিপণে ইলিয়াছকে ফেরত দিতে তারা সম্মত হয়। সেমতে গতকাল বিকেলে খাসমহল সীমান্তে দু লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে তারা ইলিয়াছকে মুক্তি দেয়। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় অপহরণ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

১৪/১৫ বছর আগে দুখু বাহিনীর সদস্যরা ইলিয়াছের মতো করেই সীমান্ত এলাকা থেকে মানুষ অপহরণ করে ভারতে নিয়ে যেতো। বড় অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করেই তাদের মুক্তি দিতো। আবার অনেকেই মুক্তিপণ পরিশোধ করতে না পেরে অপহৃত স্বজনদের আজো ফেরত পায়নি। এমন ঘটনাও রয়েছে। তাই আবারো অপহরণ করে ভারতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেএলাকাবাসী।