গাংনীর ডাকাত ও চাঁদাবাজ দলের মূল হোতা রহমান অস্ত্র-গুলিসহ আটক

গাংনী প্রতিনিধি: আব্দুর রহমানকে (৪২) আগ্নেয়াস্ত্রসহ (৪২) আটক করা হয়েছে। পুলিশ এ তথ্য দিয়ে বলেছে, মেহেরপুরের গাংনী এলাকার ডাকাত ও চাঁদাবাজ দলের মূল হোতা আব্দুর রহমানকে গত রোববার বিকেলে করমদী গ্রাম থেকে আটক করা হয়। তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় হয়েছে একটি বন্দুক (ভারতীয়) ও পাঁচ রাউন্ড গুলি। সে রংমহল গ্রামের সামাদ শেখের ছেলে।

গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রহমান আত্মগোপনে থেকে তার সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল গত রোববার বিকেলে করমদী গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আটক করে। রাতে গাংনী থানায় জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্র, গুলি ও তার বাহিনীর সদস্যদের সম্পর্কে স্বীকারোক্তি দেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ ও গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন পুলিশের একটি দলের সাথে রহমানকে নিয়ে করমদী গ্রামে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় রহমানের আত্মীয় আব্দুর রহিমের বসতবাড়ির বারান্দায় ভূষির গাদা থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

গাংনী থানা সূত্রে আরো জানান গেছে, রহমান শুধু ডাকাতি-চাঁদাবাজির সাথেই জড়িত নয় সে একজন চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী। রংমহল গ্রামের ওপারে ভারতের পাকশি গ্রামে তার এক ভাই বসবাস করে। তার মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে প্রচুর ফেনসিডিল, গাঁজা ও হেরোইন এবং অস্ত্র নিয়ে আসে। গাংনী শহর, বারাদী, আমদহ, বামন্দী ও খলিশাকুণ্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় পাইকার ব্যবসায়ী হিসেবে মাদক ও অস্ত্র বিক্রি করে থাকে।

গাংনী থানা ওসি আকরাম হোসেন জানান, রহমানের নামে অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে গতকালই মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আব্দুর রহমান পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, বাহিনীর সদস্য ও মাদকের বিষয়ে কিছু তথ্য দিয়েছে। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।