গাংনীর চারটি গ্রামের মানুষের বিরোধ মেটাতে পুলিশ-নেতৃবৃন্দের যৌথ উদ্যোগ

 

গাংনী প্রতিনিধি: গাংনী উপজেলার মানিকদিয়া, আমতৈল, ভোলাডাঙ্গা ও কেশবনগর গ্রামের মানুষের মাঝে চলমান বিরোধ নিরসনে পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বিকেলে মানিকদিয়া এগারপাড়া দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে এমপি, পুলিশ সুপার, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ ভুক্তভোগী চারটি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মুক্ত মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, এলাকার গুটি কয়েক মানুষ খারাপ। তাদের কারণে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন সকলের সহিষ্ণু মনোভাব কামনা করে বলেন, আবারো কয়েকটি বৈঠক করে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেহেরপুর পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম এলাকাবাসীর উদ্দেশে বলেন, পুলিশি হস্তক্ষেপ কেন করতে হবে? এলাকার মানুষ চাইলে তারাই বসে সমস্যার সমাধান করতে পারে। তাই সকলে ছাড় দিয়ে হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, মুখে শান্তি চাই বললেই শান্তি আসবে না। নিজে অশান্তি করবো না এমন মনোভাব সৃষ্টি করতে পারলেই শান্তি ফিরে আসবে। গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী বলেন, শপথ নিতে হবে চুরি, ডাকাতি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিজে করবো না, যারা করবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।

ভোলাডাঙ্গা গ্রামের আবু তালেব মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী থানার ওসি মাছুদুল আলম, ওয়ার্কার্স পার্টির কমরেড জালাল উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আয়ুব আলী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ ও শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সহসভাপতি ইয়াছিন রেজাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনসহ রাজনৈতিক বিভিন্ন বিরোধের জেরে ওই চারটি গ্রামের মানুষের মাঝে বিরোধ চলে আসছিলো। এক গ্রামের মানুষ আরেক গ্রামে যেতে পারছিলেন না। মাসখানেক ধরে চলা বিরোধে কয়েকবার সহিংস ঘটনারও জন্ম দিয়েছে। তাই এলাকায় শান্তিপূর্ণ বসবাসের জন্য পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের ওই উদ্যোগে স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া দিয়েছেন এলাকার মানুষ।