গাংনীর চাঁদপুরে ২১টি ফকির পরিবারকে তওবা করিয়ে নেয়ার অভিযোগ

 

 

জামায়াত-শিবিরের ১৭ ক্যাডারর বিরুদ্ধে মেহেরপুরে মামলা দায়ের

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের ২১টি ফকির পরিবারকে মারধর করে তওবা করিয়ে নিয়েছে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। বশ্যতা স্বীকার করে না নেয়ায় বাড়ি থেকে তাদের বের হতে দিচ্ছেনা তারা। এঘটনায় ওই গ্রামের আবু বক্কর ফকির বাদী হয়ে নাসিরুদ্দিনসহ জামায়াত-শিবিরের ১৭ জন ক্যাডারের বিরুদ্ধে মেহেরপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

বাদী মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত বছিরুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আবু বক্কর ফকির অভিযোগ করেছেন, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে মারফতি লাইনের বাউলপন্থি ফকির তিনি। ওই গ্রামের মোট ২১টি পরিবার একই পথের অনুসারী। ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে নাসিরুদ্দিনসহ বেশ কিছু মৌলবাদী এবং ফতোয়াবাজ লোক একজোট হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আসামি নাসিরুদ্দিন জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার। বাদী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক। নাসিরুদ্দিন গ্রামের মসজিদের ইমাম। তিনি জুম্মার খুৎবায় মুসল্লিদের খেপিয়ে তোলেন এবং ২১বাউল পরিবারকে বয়কটের হুমকি দেন। এরপরও মত থেকে বিচ্যুত না হওয়ায় তারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ২১ পরিবারের লোকজনকে ধরে নিয়ে যায় এবং তওবা পাঠ করিয়ে তাদের দলে ভেড়ান।

মামলার বাদী আরো জানান, তিনিসহ কয়েকজন তাদের বশ্যতা মেনে না নেয়ায় তাদের বাড়ি হতে বের হতে দিচ্ছেনা। এতে আবু বক্কর ফকিরের দেড়শ’ পিলি পানবরজের সম্পূর্ণ পান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তার ক্ষতি হয়েছে ৫ লাখ টাকা। এছাড়া মামলার এক নম্বর সাক্ষী মিনাজ ফকিরের আড়াই বিঘা জমির কাঁঠাল নষ্ট হওয়ায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এঘটনায় আবু বক্কর ফকির বাদী হয়ে নাসিরুদ্দিনসহ একই গ্রামের ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।