গাংনীর খয়েরের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে গুলির আলামত : অস্ত্র উদ্ধারের দাবি

 

 

গাংনী প্রতিনিধি: অবশেষে পরিবারের সন্দেহের সত্যতা মিলেছে। হত্যকাণ্ডের শিকার মেহেরপুর গাংনীর থানাপাড়ার আবুল খয়েরের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে গুলির আলামত পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা দাবি করে আসছিলেন যে ধারালো অস্ত্র ও গুলি করে খয়েরকে হত্যা করা হয়েছে। খয়ের হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সেই অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে পরিবারসহ বিভিন্ন মহল।

জানা গেছে, সম্প্রতি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রাজশাহী মেডিকেলের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেনসিক মেডিসিন ডা. ইনামুল হক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনে শরীরের কয়েকটি স্থানে গুলির অস্তিত্ব পেয়েছেন। ধারালো অস্ত্রের কোপ ও গুলির কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সময় আবুল খয়েরের পরিবারের সদস্যরা সেখানে এগিয়ে যাওয়ার সময় গুলির শব্দ পেয়েছিলেন। পরে খয়েরের নিথর দেহেও গুলির অস্তিত্ব পেয়েছিলেন তারা। এ কারণে খয়ের হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সেই অস্ত্র উদ্ধারের জোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, বাবু ওরফে কানা বাবু ও আকছারসহ আসামিরা দুধর্ষ। কানা বাবু সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তাদের কাছে বোমা ও অস্ত্র থাকা অস্বাভাবিক কিছুই না। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কোথায় অস্ত্র লুকিয়ে? রেখেছে তাদেরকে জিজ্ঞাবাদেই জানা যাবে।

এদিকে মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। হত্যাকাণ্ডের হোতা বাবু ওরফে কানা বাবুসহ কয়েকজন সম্প্রতি আদালতে আত্মসর্ম্পণ করেছে। বাকি কয়েকজন আসামি এখনো গ্রেফতার হয়নি। দ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।

উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যা রাতে গাংনী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির অদুরে আবুল খয়েরের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে গাংনী থেকে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়া হলে পরদিন ভোরে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। নিহত আবুল খয়ের গাংনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইনসারুল হক ইন্সুর ভাই। হত্যকাণ্ডের ঘটনায় পরিবার থেকে গাংনী থনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।