গাংনীর কোদাইলকাটি গ্রামে নিহত কৃষক আবু বক্করের বাইসাইকেল উদ্ধার

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি গ্রামের কৃষক আবু বক্করকে (৫৫) ছিনতাইকারিরাই হত্যা করেছে বলে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে খলিশাকুণ্ডি ঘাট এলাকায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে তার ব্যবহৃত বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এতে হত্যাকারিদের বিষয়ে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পাওয়াসহ তদন্ত কাজে সহায়ক হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাছুদুল আলম ।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুণ্ডি গ্রামের বয়োবৃদ্ধ চাঁদ আলী বাড়ির পাশে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করছিলেন। এক পর্যায়ে তার পায়ে বাধে একটি বাইসাইকেল। বাইসাইকেলটি তিনি নদীর পাড়ে রাখেন। নিহত আবু বক্করের ব্যবহৃত বাইসাইকেল পাওয়া গেছে এমন খবরের ভিত্তিতে এলাকার মানুষ জড়ো হয়। ঘটনাস্থলে যায় নিহতের পরিবারের সদ্যরা। হত্যাকাণ্ডের দিনে এ বাইসাইকেলটি নিয়েই আবু বক্কর বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে নিশ্চিত করেন। পরে গাংনী থানা পুলিশ তা হেফাজতে নেয়। হত্যাকাণ্ডের স্থান রাজাপুর মাঠ থেকে খলিশাকুণ্ডি মাথাভাঙ্গা নদীতে বাইসাইকেল উদ্ধারের স্থানটি বেশি দূরে নয়। নিহতের পরিবার ও এলাকার মানুষের ধারণা ছিনতাইকারিরা আবু বক্করের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে হত্যা করে। বাইসাইলেকটি হত্যাকাণ্ডের আলামত হিসেবে ধরা পড়তে পারে বিধায় নদীতে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। এমন ধারণার সাথে পুলিশও একমত। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম জানিয়েছেন, আবু বক্কর যে ঘাট দিয়ে খেয়া পার হয়ে বাড়িতে আসছিলেন তার মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবেই আবু বক্কর তার পরিচিত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় তার কাছে বাইসাইলেটি ছিলো। কিন্তু কারা কীভাবে এটি নিয়ে খেয়া পার হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তবে ছিনতাইকারিরা আবু বক্করকে হত্যা করেছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত পুলিশ। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারেও কাজ করছে পুলিশের একটি দল।

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কোদাইলকাটি গ্রামের মৃত হারান মিয়ার ছেলে কৃষক আবু বক্কর (৫৫) পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুণ্ডি বাজারে মরিচ বিক্রির উদ্দেশে যান। রাত একটার দিকে রাজাপুর মাঠ থেকে তার জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। শুক্রবার নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের নামে গাংনী থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।